ফণী শক্তিশালী হচ্ছে, জলোচ্ছ্বাসে ডুবতে পারে নিম্নাঞ্চল
ঘূর্ণিঝড় ফণী সাগর থেকে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে বেশ ধীর গতিতে। ক্রমশই ফণী শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ফণীর প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসও হয়ে ডুবতে পারে নিম্নাঞ্চল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দীন আহমেদ বলেন, ফণী ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আগামী ৪ মের বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। ফণীর শক্তি কতটা ভয়ংকর হতে পারে, সেটি আজ দুপুরে বোঝা যাবে।
ফণী আজ সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে, সে জন্য সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। নাম হয় তার ফণী।
এসজে/এসএস
মন্তব্য করুন