• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘ঝুঁকিতে থাকলেও দেশে হামলার আশঙ্কা নেই’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:১৭

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, সারা বিশ্ব এখন জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে বৈশ্বিক ঝুঁকির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ঝুঁকিতে থাকলেও হামলার আশঙ্কা নেই। এখন পর্যন্ত দেশে কোনও হুমকি বা হামলার তথ্য আমাদের কাছে নেই।

আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, নিউজিল্যান্ডে হামলার পর আমাদের দেশের জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে একটি প্রতিশোধপরায়ণ প্রবণতা জেগে উঠেছে। কিছু তথ্য আমরা বিভিন্ন ইন্টেলিজেন্সির মাধ্যমে পেয়েছি। তবে হামলার জন্য যে পরিমাণ সরঞ্জামের প্রয়োজন সেগুলো জোগাড় করা অনেক সময়ের ব্যাপার। ইতোপূর্বে আমাদের বিভিন্ন অভিযানে তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা অনেকটা ভেঙে গেছে। শ্রীলঙ্কায় হামলার ঘটনার পর থেকে নিঃসন্দেহে তারা ইন্সপায়ার হয়েছে। তবে হামলার জন্য সাংগঠনিক কাঠামো, মনোবল ও সরঞ্জাম তাদের নেই।

শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফেরা ১১ শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার পর দেশটি থেকে ফেরত পাঠানো ১১ বাংলাদেশি শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতা এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার ১১ বাংলাদেশি শ্রমিকের কোনও সংশ্লিষ্টতা খুঁজে না পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই। তারা ইব্রাহিম ইনসাফ আহমেদের কোলোসসাস লিমিটেড নামে পিতলের একটি কারখানায় কাজ করতেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের বাড়ি টাঙ্গাইলে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই ১১ জন মূলত টুরিস্ট ভিসায় শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিল। তাদের কোনও ওয়ার্ক পারমিট ছিল না। কারো কারো ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। কারখানাটির মালিক ইব্রাহিম ইনসাফ শ্রীলঙ্কায় আত্মঘাতী হামলায় মারা গেছেন। দেশটির পুলিশ চিহ্নিত করেছে হামলাকারীদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। যে কারণে শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষ ওই ১১ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। সেখানে অন্যান্য দেশের শ্রমিকরাও ছিলেন। তাদেরও নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh