• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

রমজান আসতেই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:১১
ফাইল ছবি

রমজান শুরু হতে এখনও বাকি ১০-১১ দিন। কিন্তু এরইমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে পেঁয়াজ, ছোলা, চিনি, ডালের দাম বেশ কিছুটা বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, রোজার কারণে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। এ কারণে তারাও বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, মিরপুর-২, কচুক্ষেত রজনীগন্ধা সুপার মার্কেটসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার সময় বেশি ব্যবহৃত হয় এমন কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, যে পেঁয়াজ দুই সপ্তাহ আগে মান ভেদে ১৬ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা বেড়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মান ভেদে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়, যা সপ্তাহ খানেক আগে বিক্রি হতো ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। মসুরের ডাল দেশি ৯৫-১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৯০-৯৫ টাকা। ভারত থেকে আমদানি করা ডাল বিক্রি হতো ৭০ টাকা, যা সপ্তাহ খানেক আগে বিক্রি হতো ৬০ টাকায়। ৫ লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৪৯০ টাকা। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, যা গেল সপ্তাহে ছিল ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। এছাড়া বুটের ডালের বেসন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়, যা আগে ছিল ৭০-৮০ টাকা।

ছোলাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে কেন, জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের আল মদিনার বিক্রেতা মো. শহিদুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। ৫০ কেজির চিনির বস্তায় ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বেশ। ছোলায় বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। আমরা কি করবো? তাই বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এ দোকানে পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, গত সপ্তাহেও বাজার করলাম, এত দাম ছিল না। রমজান সিয়াম সাধনার মাস। বিশ্বের কোনও দেশে রমজানে পণ্যসামগ্রীর দাম বাড়ে না। কিন্তু আমাদের দেশে বাড়ে।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম ১০ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি বরবটি ৭০ থেকে ৮০, কচুরলতি ৬০ থেকে ৭০, করলা ৭০ থেকে ৮০, শিম ৫০ থেকে ৬০, ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০, গাজর ৫০ থেকে ৬০, আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকায়, লাল লেয়ার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কমেছে ১০ টাকা। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়, যা গেল সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। এছাড়া বাজারবেধে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি। আর খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু, সরানো হচ্ছে ডিএনসিসি কার্যালয়
রমজান মাসে ৪ বিশেষ আমল
সেহরিতে মসজিদের মাইকে অনবরত ডাকাডাকি, যা বললেন আহমাদুল্লাহ 
সময় বাড়ায় মেট্রোরেলে স্বস্তি, রাতেও যাত্রীর চাপ
X
Fresh