মসজিদে খুতবার আগে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আলোচনা করবেন: প্রধানমন্ত্রী
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ মানবতার বিরুদ্ধে। যারা এগুলো করে তারা ঘৃণা ছাড়া কিছুই পায় না। এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। আমি আশা করি, ইমামরা মসজিদে খুতবার আগে এ ব্যাপারে আলোচনা করবেন। ইসলাম যে শান্তির ধর্ম সে বিষয়ে কথা বলবেন। এখানে সন্ত্রাসবাদের কোনও স্থান নেই। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিরতিহীন 'বনলতা এক্সপ্রেস' ট্রেনের উদ্বোধন করার সময় তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, যারা ইসলাম ধর্মের নাম করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে তারা ইসলাম ধর্মেরই ক্ষতি করছে। সন্ত্রাসীদের কোনও ধর্ম নেই, দেশ নেই। এরা মানবজাতির শত্রু।
শ্রীলংকায় হামলায় ফুপাতো ভাই শেখ সেলিমের নাতির মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসের কারণে আমরা ৮ বছরের শিশু জায়ান চৌধুরীকে হারিয়েছি। আমার পরিবারের সবাইকে ১৫ আগস্টে হারিয়েছি। আমি চাই না, আর কোনও সন্তানের এভাবে মৃত্যু হোক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দেশবাসীকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা শান্তি চাই। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটে। শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইদের মতো সন্ত্রাসীদের জন্ম হয়। হরতালের নামে তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গাড়ি, বাস, ট্রাক ও লঞ্চ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। বাবা দেখেছে চোখের সামনে ছেলে পুড়ে যাচ্ছে, মা দেখেছে সন্তান পুড়ে যাচ্ছে, ভাই দেখেছে বোন পুড়ে যাচ্ছে। আমরা এগুলো চাই না।
তিনি বলেন, যারা ইসলাম ধর্মের নাম করে এগুলো করছে, তারা ইসলাম ধর্মেরই ক্ষতি করছে। সন্ত্রাসীদের কোনও ধর্ম নেই, দেশ নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, রেলের যোগাযোগটা উন্নত করে দিতে চাই। এর সার্বিক উন্নয়নে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা চাই দেশটা এগিয়ে যাক। সবকিছুর সঙ্গে রেল সাশ্রয়ীও বটে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, উত্তরবঙ্গ এখন আর মঙ্গাপীড়িত নয়। আমরা উত্তরবঙ্গকে মঙ্গামুক্ত করেছি। রাজশাহীবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।
বলনতা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বনলতা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ঘোষণা করছি। এখন থেকে সবমিলিয়ে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌঁছানো যাবে।
এমসি/এস
মন্তব্য করুন