• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

নুসরাত হত্যায় সেই শম্পা ওরফে চম্পা গ্রেপ্তার

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ২১:০৪
ছবি-সংগৃহীত

নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় আলোচিত সেই শম্পা ওরফে চম্পাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। কয়েকদিন আগেই তাকে আটক করা হলেও শম্পা ওরফে চম্পাকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়টি সোমবার ফেনী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।

গেল ৪ এপ্রিল সিরাজের সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে যান মাদরাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম ও মাদরাসার সাবেক ছাত্র নূর উদ্দিনসহ চারজন। সেখানে সিরাজ তাদের ‘একটা কিছু করে’ নুসরাতকে শায়েস্তা করার নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী শাহাদাত হোসেন শামীম নুসরাতকে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

নুসরাত হত্যায় মোট ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত আট আসামির মধ্যে পরিকল্পনাকারী শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), নূর উদ্দিন (২০), মুকছুদ আলম কাউন্সিলর (২০), জোবায়ের আহম্মেদ, জাবেদ হোসেন (১৯) ও আফছার উদ্দিনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই ঘটনায় আগে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার সিরাজ উদ দৌলাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এজাহারভুক্ত অন্য আসামি হাফেজ আব্দুল কাদের পলাতক।

উল্লেখ্য, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন নুসরাত জাহান রাফি। নুসরাত ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় তাকে কৌশলে একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন দেয়া হয়। গুরুতর দগ্ধ নুসরাত পাঁচদিন পর ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।