• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নদীর স্বাভাবিক গতি যেন অব্যাহত থাকে : প্রধানমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১১ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৪০

আমরা আমাদের প্রয়োজনে অনেক নদীতে ব্রিজ তৈরি করি। আমাদের প্রবণতা থাকে নদী শাসন করার। ব্রিজটা যেন ছোট হয়, সেজন্য নদীকে ছোট করা হয়। আমি এই মতের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে ভিন্নমত পোষণ করছি। নদীর স্বাভাবিক গতি যেন অব্যাহত থাকে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পানি দিবস ২০১৯ উদযাপনের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে শতবর্ষের বদ্বীপ সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া ডেল্টা প্ল্যানের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

নদী শাসনের প্রবণতার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ষাকালে যখন বেশি পানি আসে, সেই পানিকে ধারণ করার জন্য বাফার জোন রাখতে হবে। সেভাবে পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। আমরা নদীকে বেঁধে ফেলি কিন্তু নদী বাঁধ মানে না। সুনামি, সিডরের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা দেখেছি, পানির তোড়ে সবকিছু ভেসে যায়। তাই পানিকে বেঁধে না রেখে এর চলাচলের সুব্যবস্থা করে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জানি, পানির অপর নাম জীবন। পৃথিবীর সব সভ্যতা গড়ে উঠেছে নদীর তীরে। কিন্তু এই পানি অনেক সময় মানুষের জীবন সর্বনাশের দিকে নিয়ে যায়। তাই আমাদের জন্য যেন পানি আর্শীবাদ হয়ে আসে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই, যেন দেশের মানুষকে আর কখনো দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হতে না হয়।

তিনি বলেন, চৈত্র-বৈশাখ মাস এলেই নদীর পানি শুকিয়ে যায়। আমাদের এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন শুকনো মৌসুমেও নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকে। আমাদের হাওড়-বাওড়-বিলগুলো জলাধার হিসেবে কাজ করে। এগুলোতে সারাবছর পানি থাকে। সেখান থেকে পানি নদীতে নেমে যায়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, অধিক ফসলের ফলনসহ বিভিন্ন ধরনের চিন্তা থেকে বাঁধ দিয়ে এমন অবস্থা তৈরি করা হয় যে জলাধারগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বর্ষায় যখন পানি আসে, পানি নামার জায়গা পায় না। ভাঙন বেশি হয়।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ২২ মার্চ পানি দিবস পালিত হলেও এবার ওই দিন শুক্রবার হওয়ায় দিবসটি পালন করা যায়নি। ১১ এপ্রিল দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এ বছর জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’।

পানি দিবসের এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জাতীয় পতাকার নকশাকারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী
ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh