• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কূটনীতিকদের ভুলে ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৬:৪৯

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। জাতিসংঘে এ দাবি উপস্থাপন করলে যাতে কেউ বিরোধিতা না করে সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূতরা সেই কাজ করছেন। তবে কূটনীতিকদের ভুলে একবার এই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। বললেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা ও আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ২৫ মার্চকে স্বীকৃতি আদায়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। সে রাতে কি ঘটেছিল তা ইতিহাসে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

মন্ত্রী আফসোস করে বলেন, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের ভুলের কারণে পঁচিশে মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করা সম্ভব হয়নি। ২০১৫ সালে যখন জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন আমাদের কূটনীতিকরা বিষয়টি তা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি।

জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার ‘একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা ও আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে মোজাম্মেল হকের এ মন্তব্য আসে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা ও যুদ্ধাপরাধ পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ চলছে। আর বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার রাতে ঢাকায় আমেরিকান ও পাকিস্তানি দূতাবাস কেন খোলা ছিল সে রহস্য উদঘাটনের কাজ চলছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতের গণহত্যা, ধর্ষণ নতুন প্রজন্ম যেন ভুলে না যায়, সেজন্য তাদের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

মোজাম্মেল হক আরও বলেন, যারা গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে বিরোধিতা করে, তারা স্বাধীনতা মানে না। যারা সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক করতে চায়, তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচার হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, রাজাকারদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই বিচার আরও ব্যাপকভাবে করা হবে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত যারা করে, তাদের সন্তানদের সরকারি চাকরি দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে কাজ করছে সরকার।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, খুনি জিয়ার যুদ্ধ করা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিতর্ক আছে আরেক খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদেরও ভূমিকা নিয়ে।

মুক্তিযুদ্ধের পরে দীর্ঘ সময় স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় ছিল, এজন্য ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। ঘুমন্ত জাতির ওপর আক্রমণ করা কাপুরুষোচিত, বর্বরোচিত। কতোটা অমানবিক নিষ্ঠুর কাজ করতে পারে মানুষ, সেটা ১৯৭১ সালের পাকিস্তানিদের দেখলে বোঝা যায়।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা, জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
মুখ খুলল রাশিয়া
X
Fresh