• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণে আরও ভূমিকা রাখতে আগ্রহী চীন

মো. কামরুল হাসান

  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৯
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে জোরালোভাবে কাজ করছে চীন। কোনও কোনও দেশের জন্য চীনের এমন উদ্যোগ আতঙ্কের কারণ হলেও কিছু দেশের জন্য আবার আশার আলো হয়ে উঠেছে। বর্তমানে চীনের লক্ষ্য তালিকায় অন্যতম স্থানে আছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে অবকাঠামোগত, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে চলছে চীন। চলমান আছে বেশকিছু প্রকল্প। দেশের বিভিন্ন অবকাঠামোসহ পদ্মা সেতু প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণ, আইটি খাতে তাদের অংশগ্রহণ বিদ্যমান।

মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের ২০ শতাংশ মালিকানাও নিয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে আছে বিশেষ আগ্রহ। এছাড়া রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভের অন্যতম অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে আলাদাভাবে ভাবছে চীন।

চীন দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের আধিপত্য বাড়াতে চাইছে। শ্রীলঙ্কায় সমুদ্রবন্দর, পাকিস্তানের সঙ্গে ইকনোমিক করিডোর, মালদ্বীপের বন্দরে বিনিয়োগ, নেপালে বড় অঙ্কের বিনিয়োগসহ মিয়ানমারে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে চীন।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষ করে অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে তাদের ব্যাপক আগ্রহ আছে। এই বিষয়ে কথা হয় চীনা প্রতিষ্ঠান ইউনান সানি রোড অ্যান্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট লিউ ফালিয়াংয়ের সঙ্গে। তিনি জানান বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের কাজ কারার আগ্রহের কথা।

প্রশ্ন: বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে আপনি কীভাবে ভাবছেন?

লিউ ফালিয়াং: এই ইনিশিয়েটিভ চীনের জন্য নতুন দ্বার উন্মুক্তকরণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে যা পরিপূরক সুবিধার এবং সাধারণ প্রয়োজনের ভিত্তিতে পারস্পরিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করবে। এক্ষেত্রে অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষে আছে। ৬০ বছরের পুরোনো অবকাঠামো নির্মাণ ঠিকাদার হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে চীন ইউনান সানি রোড ও ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের লাওস, মিয়ানমার ও পাকিস্তানে ১৫ বছরের নির্মাণ অভিজ্ঞতা আছে। বাংলাদেশ শুধু চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী নয়, বেল্ট অ্যান্ড রোডের পাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। অসাধারণ সম্ভাবনাময় অবকাঠামো নির্মাণ বাজারে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহী কন্ট্রাক্টর হিসেবে আমরা বাজার তদন্তের জন্য বহুবার বাংলাদেশ সফর করেছি। আশা করা যায় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, সহনশীলতার নীতিমালা, সবুজ উন্নয়ন এবং সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণ এবং চীন-বাংলাদেশের সম্পর্কে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবো।

প্রশ্ন: কী পরিমাণ বিনিয়োগকারী বিনিয়োগে আগ্রহী এবং কোন কোন খাতে?

লিউ ফালিয়াং: প্রথমত ঠিকাদার হিসেবে আমার বলা উচিত যে অবকাঠামো নির্মাণ প্রথম পছন্দ। এটিই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের প্রথম লক্ষ্য। দ্বিতীয়ত চীনা ভাষায় বলে, যদি আপনি ধনী হতে চান, তবে আপনাকে প্রথমে রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। পরিবহন সুবিধার উন্নতি অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি এবং প্রথম পদক্ষেপ। অবশেষে আমি আশা করি বাংলাদেশে আরও সহযোগিতার পথ ও তথ্য পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে কী সমস্যা ও বাধা আছে বলে মনে করেন?

লিউ ফালিয়াং: আমার মতে, প্রথমত তথ্য বিনিময়ের প্ল্যাটফর্ম অপর্যাপ্ত। সমৃদ্ধ ও মসৃণ তথ্যপ্রবাহের পথ খুব গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, ন্যায্য অংশগ্রহণ, প্রতিযোগিতার প্ল্যাটফর্ম ও প্রক্রিয়ার প্রয়োজন।

প্রশ্ন: কুনমিং চ্যাংশুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণ সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা কী?

লিউ ফালিয়াং: কুনমিং চ্যাংশুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রথম 4F-শ্রেণির বিমানবন্দর, যা চীনে পূর্ণ-প্রস্থের নমনীয় পিচের রানওয়ে গ্রহণ করে। অন্য কথায় এটি নিশ্চিতভাবে একটি মাইলফলক। রানওয়ে নির্মাণে অংশগ্রহণের জন্য আমরা সম্মানিত বোধ করি। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বিমান-এয়ারবাস A380 এর জন্য প্রস্তুত। নমনীয় পিচের রানওয়ের বৈশিষ্ট্যটি পরবর্তী সময়ে প্লেন ছেড়ে যাওয়া এবং অবতরণের পাশাপাশি অসুবিধাজনক রক্ষণাবেক্ষণ, কম শব্দ এবং আরামদায়ক হয়। নমনীয় পিচের রানওয়ে 4F-শ্রেণি বিমানবন্দরের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন দিক চিহ্নিত করে। আশা করি বাংলাদেশও রানওয়ে নির্মাণে এই প্রযুক্তি গ্রহণ করবে এবং আরও আশা করি যে আমরা এই নির্মাণে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবো।

কে/

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে দর্শক মাতাতে আসছেন আতিফ আসলাম
‘বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র’
‌‘ইন্ডিয়া আউট যারা বলছে, তারাই জনগণ থেকে আউট হয়ে গেছে’
‘ফিল্মফেয়ার বাংলা’য় মনোনয়ন পেলেন বাংলাদেশের যেসব তারকা
X
Fresh