প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ
সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা।
রোববার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেলেঙ্কারির বিষয়টি উত্থাপন করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা।
প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে জানতে চান, কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে ভিন্ন প্রশ্নে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। যা তাদের শিক্ষাজীবনের ওপর প্রভাব ফেলবে। এ বিষয় মন্ত্রণালয় কি ব্যবস্থা নিয়েছে?
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, সারাদেশের এসএসসি পরীক্ষার প্রায় ৪ হাজার কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্র সচিবসহ যাদের ভুলের কারণে এটা ঘটেছে, ইতোমধ্যে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দায়ী সকলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রথম দিনের পরীক্ষায় যারা ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য তাদের খাতা ভিন্নভাবে দেখা হবে।
শিক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, শিক্ষামন্ত্রী নৈতিকতাবিরোধী বক্তব্য দিলেন। যারা ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের কোন মানদণ্ডে নম্বর দেবেন। সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নে তারা পরীক্ষায় কী লিখল? তারা না লিখলেও কী নম্বর দিবেন? বরং তাদের সিলেবাসে নতুন প্রশ্নে তাদের আবরও পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা?
জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নতুন করে পরীক্ষা নিলেও তো একই মানদণ্ড নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। কারণ আগের যে প্রশ্নে অন্যরা পরীক্ষা দিয়েছে, একই প্রশ্নে আবারও পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। আর নতুন প্রশ্ন করলে তো আলাদাই হলো।
এ বিষয়ে যুক্তিযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য বিকল্প কোনও প্রস্তাব থাকলে তা মন্ত্রণালয়কে জানানোর অনুরোধ জানান ডা. দীপু মনি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া দেশের তিন হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। পরীক্ষার প্রথমদিনেই ১০ হাজার ৩৮৭ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এরমধ্যে আটটি সাধারণ বোর্ডে ৪৯৭৮ এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৫ হাজার ৪০৯ জন। এছাড়া বহিষ্কার করা হয়েছে ২৪ পরীক্ষার্থীকে।
আরও পড়ুন
এমসি/পি
মন্তব্য করুন