• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রতি বৃহস্পতিবার স্কুলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, মিলবে পুরস্কার

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৪

শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না করে প্রতি বৃহস্পতিবার দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এটি আজ বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এরজন্য শিক্ষার্থীদের পুরষ্কৃত করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত পরিপত্র জারি করে এ তথ্য প্রকাশ করেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে এটি কার্যকর হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই কার্যক্রমের আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষক এ কার্যক্রমের ব্যবস্থা নেবেন। এতে স্থানীয় প্রশাসন ও অভিভাবকদেরও আমন্ত্রণ জানানো যাবে। এ নির্দেশনার আলোকে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার রাখায় যেসব শিক্ষার্থী বেশি অবদান রাখবে, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। শ্রেষ্ঠ পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয়ও পাবে পুরস্কার।

এছাড়া উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন তাদের স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে অবস্থিত শ্রেষ্ঠ পরিচ্ছন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় বাছাই করে পুরস্কারের ব্যবস্থা করবে। এসব বিষয় প্রতিপালনে ব্যর্থ প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান শিক্ষকদের সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সারাবছর অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছে।

শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় আরও যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে- শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাকে বিদ্যালয়ে আসতে উৎসাহ প্রদান, পরিচ্ছন্ন স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স ও পানির পাত্র ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি ক্লাস রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিদ্যালয়ের দেয়ালে নীতিবাক্য ছাড়া অন্য দেয়াল লিখন বন্ধ করতে হবে। শ্রেণিকক্ষের সামনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ঢাকনাযুক্ত পাত্র রাখতে হবে, যাতে ওইসব পাত্রে শিক্ষার্থীরা ময়লা-অবর্জনা ফেলতে পারে। পাত্রগুলো পরিষ্কার করে পরের দিনের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে রাখতে হবে।

শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের আগে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, ব্ল্যাকবোর্ড ও হোয়াইটবোর্ড পরিষ্কার রাখতে হবে। আবশ্যিকভাবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে। খেলার মাঠ যথাসম্ভব পরিচ্ছন্ন ও খেলাখুলার উপযোগী রাখতে হবে। খেলার মাঠে ময়লা ফেলার জন্য বড় আকারের পাত্র রেখে তা নিয়মিত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতে হবে।

জায়গা থাকলে বৃক্ষরোপণের ব্যবস্থাসহ মৌসুমী ফুলের বাগান করতে হবে। বিদ্যালয়ের বাইরের সৌন্দর্য বাড়াতে ফুলের টব রাখা যেতে পারে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্ভব হলে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা ‘ওয়াশব্লক’স্থাপন করে সেখানে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতিদিন ওয়াশ ব্লকের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয় গড়তে বিদ্যালয়ের গালর্স গাইড, স্কাউট ও স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে পরিপত্রে।

এসব বিষয় নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে এক বা একাধিক তদারকি টিম গঠন করতে হবে। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে এক বা একাধিক ক্লাস মনিটর মনোনয়ন দিতে হবে।

এছাড়া এসব কার্যক্রম তাদরকিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্যদ এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে মনিটরিং টিম গঠন করে নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করার সময় পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত পরিপত্রের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা- তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে পরিদর্শন প্রতিবেদনে লিপিবব্ধ করতে বলা হয়েছে।

এসব বিষয় প্রতিপালনে ব্যর্থ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলেও পরিপত্রে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌবাহিনীর মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান
গাবতলীতে পিকআপের ধাক্কায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিহত, সড়ক অবরোধ
X
Fresh