• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৪ নারী লে. কর্নেল

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:২৫

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফাইটিং ফোর্সে সর্বপ্রথম লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৪ নারী কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

আজ রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তারা সাক্ষাত করেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

নারী সেনা কর্মকর্তাদের এই সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন এবং তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী ও সাহসী সিদ্ধান্তের সফল বাস্তবায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সেনাবাহিনীতে প্রথম বারের মত ফাইটিং ফোর্সের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ওই ৪ জন নারী সেনা কর্মকর্তা। ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবে তারা বৃহস্পতিবার নিয়োগ পান এবং সেনাবাহিনী প্রধান তাদেরকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবীর র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।

ফাইটিং ফোর্সের প্রথম নারী ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ৪ নারী লে. কর্নেল অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রত্যেকেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে ২০০০ সালে সেনাবাহিনীতে নারী কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।

সেনাবাহিনীতে যোগদানের ব্যাপারে বাবা-মার কাছ থেকেও তারা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। এছাড়া তাদের উপর আস্থা রেখে ব্যাটালিয়ন কমান্ডের দায়িত্ব প্রদান করায় তারা সেনা নেতৃত্বকেও ধন্যবাদ জানান।

এদের প্রত্যেকের স্বামীও সেনা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এরা হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল সানজিদা হোসেন (আর্টিলারি) লে. কর্নেল সৈয়দা নাজিয়া রায়হান (আর্টিলারি) লে. কর্নেল ফারহানা আফরীন (আর্টিলারি) এবং লে. কর্নেল সারাহ্ আমির (ইঞ্জিনিয়ার্স)। তারা সামরিক বাহিনীর কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ২০০০ সালে বিএমএতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।

তারপর দীর্ঘ ২ বছর কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। দীর্ঘ ১৬ বছরের চাকুরী জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে তারা আজকের এই সাফল্যজনক অবস্থানে পৌঁছেছেন।

সেনাবাহিনীতে নারীরা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই পুরুষের পাশাপাশি সফলভাবে চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে রয়েছে নারী প্যারাট্রুপার ও নারী বৈমানিক। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও নারী সেনা কর্মকর্তারা অত্যন্ত সফলতার সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন।

আরও পড়ুন

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিনের সদস্য নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, সর্বশক্তি দিয়ে লড়বেন নেতানিয়াহু
চাকরি দিচ্ছে সেনাবাহিনী, আবেদন অনলাইনে
জার্মান সেনাবাহিনীতে মুসলিমদের জন্য ইমাম
X
Fresh