ওসমান গণির ১২ বছরের দণ্ড আপিল বিভাগেও বহাল
দুর্নীতির দায়ে আলোচিত সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ওসমান গণিকে বিচারিক আদালদের দেয়া ১২ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। আর ওসমান গণির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আসামি ওসমান গণির করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আগের সাজার রায়ই বহাল থাকলো।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা খেটে অনেক আগেই বেরিয়ে গেছেন ওসমান গণি। ২০০৭ সালে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ওসমান গণির উত্তরার বাসা থেকে ৯৯ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা, ১৩০০ ডলার, ৩ হাজর মালয়েশিয়ান রিংগিট ও প্রচুর স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।
২০০৮ সালের ৫ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ওসমান গনিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১২ বছর ও তার স্ত্রী মোহসিনারা গনিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তবে ‘ভালো আচরণের’ কারণে ওসমান গণি ২০১৬ সালে মুক্তি পান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৫ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ওসমান গনিকে দোষী সাব্যস্ত করে ১২ বছর ও তার স্ত্রী মোহসিনারা গনিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত ওসমান গনির নামে থাকা এক কোটি ৮০ লাখ ও স্ত্রীর নামে থাকা দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ২৭০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেন।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৫ সালে হাইকোর্টে এবং আজ আপিল বিভাগেও তার সাজা বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন
এমকে
মন্তব্য করুন