• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাজারে ভরপুর শীতের সবজি, স্বস্তিতে ক্রেতারা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:০২

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো শীতের বিভিন্ন টাটকা সবজি ও শাকে ভরপুর। সরবরাহ বাড়ায় কম রয়েছে সবজির দাম। বেশির ভাগ সবজি পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। তাই মানুষও সবজি কিনছেন স্বস্তিতে।

শুক্রবার কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও কাঁঠালবাগান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে কম দামের সবজির তালিকায় রয়েছে-ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শালগম, বেগুন, পেঁপে, শিম ও গাজর। শিম বাজার ও মানভেদে ১৫ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মানভেদে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শালগম ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি এবং মুলা ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আকার ও মানভেদে খুচরা বাজারে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২৫ টাকা পিস দরে, মোটামুটি বড় আকারের একটি বাঁধাকপি মিলছে ১৫ থেকে ২৫ টাকায়। আর লাউ পাওয়া যাচ্ছে বাজার ও আকারভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে এসব সবজি।

সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমার তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটো ও নতুন আলু। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে এ সবজির কেজি বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। নতুন আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের। আগের সপ্তাহের মতো নতুন দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

কাঁঠাল বাগানের বাসিন্দা শাপলা শারমিন বলেন, শিম, কপি, লাউসহ বেশির ভাগ সবজির দাম কিছুটা হলেও কম। তাই বেশ কেনা হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াস বলেন, এখন তো প্রায় সব ধরনের সবজি ২০-৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০-১৫ টাকায়।

এখনকার সবজির বাজারে শীতকালীন শাকের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। সরিষাশাক, মুলাশাক, পেঁয়াজশাক, ধনেপাতা, মেথিশাক, লালশাক, লাউশাকসহ আরও অনেক রকম শাক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারভেদে এক আঁটি পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকায়। লালশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৫-৮ টাকায়। লাউশাকের ডগা ২০-৩০ টাকায় এবং ১০-২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এক আঁটি পুঁইশাক।

শীতকালীন সবজির দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। হাতিরপুলের ব্যবসায়ী মো. মাইনউদ্দিন জানান, প্রতিদিনের ব্যবসায় কোনও সমস্যা নেই। প্রতিদিন ব্যবসায়ে লাভ-ক্ষতি তো থাকবেই। ক্রেতারা বেশি পরিমাণে সবজি কিনছেন। সবজির দাম যদি বৃদ্ধি পায়, তাহলে বিক্রির পরিমাণ কমে যায়। আর যদি সবজির দাম কমে যায় তাহলে বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাতে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুজনই লাভবান হন।

এদিকে স্থিতিশীল রয়েছে চালের দাম। প্রতি কেজি আটাশ ৩৮-৪০ টাকা, নাজিরশাইল (ইন্ডিয়ান) প্রতিকেজি ৫৪-৫৬ টাকা, মিনিকেট প্রতিকেজি ৫২-৫৪ টাকা এবং কাজল লতা ৪৪-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে কেজিতে ডালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা।

অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস ও মুরগির দাম। বাজারে প্রতিকেজি দেশি মুরগি ৩৮০ টাকা এবং বয়লার ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায় আর খাসির দাম প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা। আর মুরগির ডিমের দাম ৩ টাকা ও হাঁসের ডিমের দাম ৫ টাকা করে হালিতে বেড়েছে। মুরগির ডিমের দাম হালিতে ৩৫ টাকা, হাঁসের ডিমের হালি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, রাজধানীর মাছ বাজারে দাম বেশ বাড়ছে। আকারবেধে ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। চিতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকায়, আইড় মাছ ৬০০-৭০০ টাকা, রুই-কাতলা ২০০-৩০০ টাকা, চিংড়ি মানভেদে ৪০০-৬৫০ টাকা, চাষের বড় পুঁটিমাছ ১৫০ টাকা আর তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে।

আরো পড়ুন:

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যেসব জায়গায় স্বস্তির বৃষ্টি হতে পারে
তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন, স্বস্তির বৃষ্টি হতে পারে যেসব জায়গায় 
তীব্র দাবদাহ : ট্রাফিক সদস্যদের স্বস্তি দিতে ডিএমপির অনন্য উদ্যোগ
তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে চার জেলায়, বাড়বে অস্বস্তি
X
Fresh