কোটি টাকাসহ গ্রেপ্তারকৃতদের একজন হাওয়া ভবনের: র্যাব ডিজি
কালো টাকার মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে গত দুই মাসে সারাদেশে প্রায় দেড় শ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। এর কথিত মালিক মাহমুদের অ্যাকাউন্টে এক মাসে ৭৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বললেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন।
বেনজির আহমেদ বলেন, কোটি টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগে মতিঝিল থেকে এক ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। এদের একজন হওয়া ভবনে কাজ করতেন।
তিনি বলেন, এই টাকার একটি অংশ গতকাল শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদের (অপু) কাছে পাঠানোর পরপর সেখানে নির্বাচনী সহিংসতা হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, গতকাল রাত থেকে অভিযান চালিয়ে ১০ কোটি টাকা নগদ ও আট কোটি টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে। মতিঝিলে ইউনাইটেড করপোরেশন ও ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ নামে অফিস খোলা হয়েছে। এই অফিসের বয়স দুই মাসের মতো। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কালো টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়ানোর জন্য মূলত এই অফিস ভাড়া নেয়া হয়েছে। কালো টাকার মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। পেশি শক্তির ব্যবহার, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এসব উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
র্যাব মহাপরিচালক জানান, দুবাই থেকে হুন্ডি ও ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা এসেছে। এছাড়া স্থানীয় পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। দুই মাসে আমরা ১৫০ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছি। তবে এ অফিসের লোকজন টাকার রেকর্ড লম্বা দিন রাখে না। তাই আমরা সব তথ্য পাইনি।
বেনজির আহমেদ বলেন, ঢাকার একটি আসনের সব ভোটারের নাম-ঠিকানার একটি তালিকাও আলী হায়দারের অফিসে পাওয়া গেছে। এর মানে কি? এর মাধ্যমে বিশাল সংখ্যার ভোটারকে কেনার পরিকল্পনা করেছিল। কালো টাকা দিয়ে ভোট কিনে যদি কেউ এ দেশের ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশের অর্থনীতির কি অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়।
আরও পড়ুন :
- নির্বাচনে টাকা ছড়ানোর অভিযোগে নগদ ৮ কোটি টাকাসহ ব্যবসায়ী আটক
- চিত্রনায়ক ফারুকের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
এমকে
মন্তব্য করুন