পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘটে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা কেন ক্ষতিপূরণ নয়
পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘটের সময় অ্যাম্বুলেন্স চালাতে শ্রমিকদের বাধার কারণে সাতদিনের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ কেন ৫০ লাখ টাকা দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত।
আজ সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শককে কুটন মিয়ার মৃত সন্তানের মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং প্রয়োজনীয় তথ্য আদালতে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), মৌলভীবাজার বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও জামিউল হক ফয়সাল।
গত ২৯ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় মৃত্যু নবজাতকের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট থেকে রিটটি দায়ের করা হয়।
শুনানিতে আদালতকে জানানো হয়, সেদিন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারসহ আট দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামেন পরিবহন শ্রমিকরা। আন্দোলনকারীরা শিশুবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে দফায় দফায় আটকে দেয়। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সচালককে মারধর করা হয়। এতে অসুস্থ শিশুটিকে নির্বিঘ্নে হাসপাতালে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলেই চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়।
এমকে
মন্তব্য করুন