নাইকো দুর্নীতি মামলা
খালেদার বিরুদ্ধে এফবিআই-কানাডার পুলিশের প্রতিবেদন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় ঘুষ নেয়া সংক্রান্ত বিষয়ে এফবিআই ও কানাডার পুলিশের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে থেকে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যা আগামী ৯ ডিসেম্বর এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি আরটিভি অনলাইনকে জানান, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে একটি কাগজ আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনী লড়াই করবো। তবে এটির নাইকো দুর্নীতি মামলার সঙ্গে কোনও সম্পৃক্তা নেই।
নাইকো দুর্নীতি মামলাটি ৩ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবীরের মামলাটির বিচারকার্য পরিচালনা করছেন।
এর আগে নাইকো দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৩০ নভেম্বর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে বলে গেলো বছর ১৮ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম নাইকো দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি দায়ের করেন।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়।
২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
খালেদা জিয়া ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। চলতি বছরের ৫ মে এ মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামি সাবেক সচিব শফিউর রহমান মারা যাওয়ার ফলে বর্তমানে আসামি সংখ্যা ১০।
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন