মিটার না দেখেই বিল কষেন ওয়াসার ইন্সপেক্টর?
এক ইন্সপেক্টর উৎকোচের বিনিময়ে গ্রাহকদের বিল কমিয়ে দেয়ার অফার দেন। অপর ইন্সপেক্টর মিটার না দেখেই বিল প্রস্তুত করেন। ঢাকা ওয়াসা’র ফকিরাপুল কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
দুদকের হটলাইন (১০৬)-এ পাওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী’র নির্দেশে এক অভিযান পরিচালিত হয়।
ঢাকা ওয়াসা’র ফকিরাপুল কার্যালয়ে বিল কারচুপি, অবৈধ অর্থের বিনিময়ে ইচ্ছেমত বিল প্রস্তুত ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ আমলে নিয়ে আজ অভিযান চালায় দুদক।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে উপসহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও দুদকের পুলিশ ইউনিটের সদস্যবৃন্দ এ অভিযানে অংশ নেন।
অভিযানকালে ওয়াসা’র ৩ জন ইন্সপেক্টরকে তাৎক্ষণিকভাবে বদলি করা হয়। তারা হলেন গোলাম রাব্বানী, শাহ মিরান ভূঁইয়া ও শফিকুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের সাথে কথা বলে দুদক জানতে পারে, ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম উৎকোচের বিনিময়ে গ্রাহকদের বিল কমিয়ে দেয়ার অফার দেন। অপরদিকে ইন্সপেক্টর গোলাম রাব্বানী’র বিরুদ্ধে মিটার না দেখেই বিল প্রস্তুত করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। বাড়তি অর্থ না দেয়ায় ইন্সপেক্টর শাহ মিরান ভূঁইয়া গ্রাহকদের বিল বাড়িয়ে দেবার হুমকি দেন।
এছাড়া দুদক টিমের উপস্থিতিতে গ্রাহকদের অভিযোগের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সমাধানের উদ্দেশ্যে তাৎক্ষণিকভাবে একটি রেজিস্ট্রার খোলানো হয়।
অভিযানকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রচুর বিল বকেয়া থাকারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারমধ্যে মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালের পৌনে ৫ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পুলিশ কোঅপারেটিভ সোসাইটি’র ৩৩ লাখ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। অবিলম্বে এসব বিল সমন্বয়ের ব্যবস্থা গ্রহণে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়েছে দুদক টিম।
এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী মন্তব্য করেন, “মাঠ পর্যায়ে এসব দুর্নীতির কারণে জনভোগান্তি বাড়ছে। দুদক নিয়মিত নজরদারীর মাধ্যমে এসব দুর্নীতি হ্রাস করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
আরও পড়ুন :
- নির্বাচনে সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে: সেনাপ্রধান
- আইনে থাকলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: ইসি
এসআর
মন্তব্য করুন