• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভয়াবহ আতঙ্কের নাম গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ (ভিডিও)

জুবায়ের সানি

  ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:৫৭

সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ এক আতঙ্কের নাম গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। যাতে হতাহত হচ্ছে বহু মানুষ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা বলছেন, এমন দুর্ঘটনার শিকার বেশিরভাগ রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। আর ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও মারাত্মক ক্ষত বয়ে বেড়াতে হয় জীবনভর।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী শাহিন ইসলাম। আগুন দুর্ঘটনায় শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে ফিরতে পারলেও এমন সৌভাগ্য অনেকেরই হয় না।

‘রেগুলেটর খোলা ছিল, তখন আমি ম্যাচ মারার সঙ্গে সঙ্গে গায়ে আগুন ধরে গেছে’ এমনভাবেই বলতে থাকেন আগুনে পুড়ে যাওয়া শাহিন ইসলাম।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তানজির আহমেদ বলেন, শরীর পুড়ে যাওয়ার সাথে সাথে যেটা হয়, তার শ্বাসনালী থেকে ফুসফুস পর্যন্ত ভিতরে যে ঝিল্লিটা পুড়ে যায়। এই পুড়ে যাওয়াটা সব থেকে বিপজ্জনক।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, গেল দেড় মাসে সারাদেশে পাঁচশর মতো গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছেন পাঁচশর বেশি মানুষ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটার পরে ডাক্তারদের কিছু করার থাকে না। কিন্তু যাতে না ঘটে সেজন্যই এখন কাজ করা উচিত।

ডা. সামন্ত লাল সেন আরও জানান, সচেতনতার কোনও বিকল্প নেই। যে বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকে তার, বাড়িওয়ালার, গ্যাস কর্তৃপক্ষ, মিডিয়া, সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। আমরা সবাই যদি এক সাথে কাজ করি তাহলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। তা না হলে কিন্তু এ মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই থাকবে।

এলপিজি সিলিন্ডারের গ্যাস লিক হতে পারে বিভিন্ন কারণে। হোসপাইপ, রেগুলেটর, গ্যাসভাল্ব থেকে হতে পারে লিক। গ্যাস লিক হলেই বিপত্তি। বদ্ধ ঘরে আগুন জ্বালালেই ঘটে বিস্ফোরণ। অনেক গৃহিণীর মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা থাকলেও বেশিরভাগের মধ্যে আছে সচেতনতার অভাব।

এক গৃহিণী বলেন, অনেকে গ্যাসের চুলা ধরিয়ে কাপড় শুকাতে দেয়, যদি কাপড়টা চুলায় পরে তাহলে আগুন লেগে যাবে। আমাদের এই কাজগুলোর জন্য সচেতন হতে হবে।

গ্যাস লিক হলে, উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তাই, এমন গন্ধ পাওয়া গেলে আগুন না জ্বালিয়ে বাসার বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিতে হবে। সঙ্গে এসব বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিতাস কর্মকর্তারা।

তিতাস গ্যাসের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, চুলা জ্বালানোর আগে রান্না ঘড়ে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। চুলাটা ভালোভাবে নিভলো কি না, তা নিশ্চিত হয়ে চাবিটা বন্ধ রাখতে হবে। মূলত গ্রাহকরা এ সচেতনতা অবলম্বন করলে অনেকটা দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে নানা উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান এই কর্মকর্তা।

অপরদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, একটু সচেতন হলেই এড়ানো সম্ভব এমন দুর্ঘটনা।

জেএম/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নেসলের শিশুখাদ্য নিয়ে ভয়াবহ তথ্য
ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত, ঘরছাড়া ১১ হাজার মানুষ
আরব আমিরাতে ভয়াবহ বন্যা, ঢাকামুখী ৯ ফ্লাইট স্থগিত 
দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
X
Fresh