• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

গ্যাস সংকট দূর হবে কবে?

অভি ইসলাম

  ১১ নভেম্বর ২০১৮, ১১:২৯

শিগগিরই কাটছে না গ্যাস সংকট। কারিগরি ত্রুটির কারণে মহেশখালীর ভাসমান টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি’র সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় গেলো কয়েকদিন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র এবং সব শ্রেণির গ্রাহক গ্যাসের বাড়তি সংকটে পড়েছেন।

চট্টগ্রাম নগরীতে গ্যাসের চাহিদা সাড়ে চারশ থেকে পাঁচ’শ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু বর্তমানে জাতীয় গ্রিড থেকে বাণিজ্যিক রাজধানী পাচ্ছে মাত্র ২০০ থেকে ২২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চুলা জ্বালাতে না পারায় মানুষ বাধ্য হচ্ছেন হোটেলের খাবার খেতে। নিরুপায় হয়ে অনেকে আবার রান্না করছেন বিকল্প পদ্ধতিতে।

গৃহিণীরা বলছেন, ভোরেই ওঠে প্রথম বিপত্তিতে পড়ি গ্যাস নেই। কিন্তু খেতে তো হবেই। বাধ্য হয়ে মাটির চুলায় রান্না করতে হয়। তবে বেশিরভাগ সময় হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছি।

গ্যাস সংকটের কারণে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সিইউএফএল সার কারখানায়। সরবরাহে ঘাটতি থাকায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে তৈরি হচ্ছে গাড়ীর দীর্ঘ লাইন।

ফিলিং স্টেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাসের চাপ কম। এজন্য ভোক্তাদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে।

একজন ভোক্তা বলেন, এক দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর গ্যাস নিতে পারছি। এতে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

চিটাগাং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব চৌধুরী বলেন, গ্যাস বিতরণে যে ত্রুটি দেখা দিয়েছে, তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে বলে বলছে কর্তৃপক্ষ, তবে আমি বিশ্বাস করি- এটা দুই দিনের মধ্যে সমাধান করা যাবে।

খুব শিগগিরই সংকট কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে কেউই তেমন কোন আশার বানী শোনাতে পারেননি।

কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়েজ আহমদ মজুমদার, আমরা চেষ্টা করছি। ত্রুটি সারিয়ে তুলতে সপ্তাহ থেকে ১০ দিন লাগতে পারে।

এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হওয়ার আগে ঢাকায় চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতি ছিল প্রায় ৫০ কোটি ঘনফুট। গেল কয়েকদিনে এই ঘাটতির পরিমাণ ৭৫ কোটি ঘনফুট ছাড়িয়ে গেছে।

২১০ কোটি ঘনফুট স্বাভাবিক চাহিদার বিপরীতে ঢাকায় গ্যাসের বরাদ্দ থাকে ১৬০ কোটি ঘনফুট। এলএনজির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পার তিতাস সিস্টেমে কমপক্ষে আরও ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছে। ফলে রাজধানীতেও দেখা দিয়েছে চরম গ্যাস সংকট। পুরান ঢাকা, মিরপুরসহ অনেক এলাকায় বেশিরভাগ সময় গ্যাস না থাকায়, দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা। ফিলিং স্টেশনগুলোতেও দেখা দিয়েছে সংকট।

উল্লেখ, বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক প্রায় ৩৫০ কোটি ঘনফুট। এলএনজি সরবরাহ শুরু হওয়ার পার এই চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ হচ্ছিল। এখন তা আবার ২৭০ কোটি ঘনফুটে নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন :

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৪ 
সীমান্তে হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে সার্বভৌমত্ব চরম সংকটে : ফখরুল
প্রতারক চক্রের বিষয়ে তিতাস গ্যাসের যে বার্তা
হিলিতে ক্রেতা সংকট, কমেছে পেঁয়াজের দাম
X
Fresh