নভেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
নভেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হবে রোহিঙ্গা প্রাত্যাবাসন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আসতে থাকে রোহিঙ্গা শরনার্থীরা। বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘মেঘনা’য় বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠকের পর দুপুরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এ তথ্য জানান।
শহিদুল হক বলেন, দুই দেশের রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকলে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব। এ বিষয়টি নিয়েই আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চেয়েছেন যেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শান্তিপূর্ণভাবে হয়। সে কারণেই মিয়ানামরের সঙ্গে বারবার আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং আলোচনা করা হচ্ছে।
এসময় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও বসবাসের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে সেখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে মিয়ানমার সরকার। এ বিষয়টি নিয়ে কর্মশালাও করা হচ্ছে।
মিন্ট থোয়ে বলেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে। প্রথম ধাপের প্রত্যাবাসন শেষ হলে আলোচনাসাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে আন্তরিক ও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। কিছু বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তও হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক। আর মিয়ানমারের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে।
এমকে
মন্তব্য করুন