অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচল শুরু, বন্দরে কমানো হয়েছে সংকেত
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূল অতিক্রমের পর ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। এটা বাংলাদেশে আঘাত হানার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই উপকূলীয় অঞ্চল ছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আগামীকাল শুক্রবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করবে। তবে ততক্ষণে সেটি নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ফলে, বাংলাদেশে তিতলি’র প্রভাব তেমন প্রকট হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র কারণে উপকূলীয় ১৯ জেলার সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এসময় ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুতও রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৫ নম্বর বিশেষ বুলেটিনের মাধ্যমে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় তিতলি উড়িষ্যা থেকে আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার ঝুঁকি কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ বুলেটিনে আরও বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরসি/এসএস
মন্তব্য করুন