• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘তিতলি’ আঘাত হানলেও বড় ক্ষতি হবে না, সর্তক অবস্থানে প্রশাসন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১০ অক্টোবর ২০১৮, ২০:০৪

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি নামকরণ করা হয়েছে ‘তিতল’। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা উপকূলের দিকে যাচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে এটা স্থলভাগের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। এ সময় হালকা বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়াসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।

আব্দুল মান্নান বলেন, ‘তিতলি’ ভারতের উড়িষ্যার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের উপর বড় কোনও ক্ষতি হবে না।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোতে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকায় দেশের সব রুটে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধ রাখতে বলেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তিতলির কেন্দ্রের ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১ ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

ঘুর্ণিঝড় তিতলি মোকাবেলায় চট্টগ্রামের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলার ৪৭৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন।

বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক এ কথা জানিয়েছেন। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে।

সভায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওযাবিদ মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, তিতলি আজ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে যেতে পারে। বাংলাদেশের খুলনা, সুন্দরবন, সাতক্ষীরা অঞ্চলের উপর দিয়ে হালকা আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। এটা উড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি চলে গেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র তাণ্ডব মোকাবেলায় বুধবার বিকেলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ কবলিত শরণখোলা, মোংলা, মোড়েলগজ্ঞ ও রামপালের স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্বিস, মেডিকেলটিম ও রেডক্রিসেন্টসহ জেলার ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে।

আরও পড়ুন :

আরসি/ জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কোথায় কেমন গরম পড়বে, জানাল আবহাওয়া অফিস
এপ্রিলে কয়টি কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড় হতে পারে, জানাল অধিদপ্তর
তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪২ ডিগ্রিতে, হতে পারে ঘূর্ণিঝড়
ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড বাড়িঘর, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
X
Fresh