• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আশ্বিন মাসে এ কেমন গরম!

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:০৩

আজ ৪ আশ্বিন। ভাদ্র ও আশ্বিন মিলেই শরৎকাল। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহ থাকলেও শরৎ এ তেমন তাপদাহ থাকে না বললেই চলে। শরৎকে ঋতুর রাণী বলা হয়। এসময় কাশফুল ফোটে। আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। কিন্তু জোর বাতাস, পাগলা হাওয়ার নাচনও বড় একটা দেখা যাচ্ছে না। উল্টো আশ্বিন মাসের শুরু থেকেই প্রবহমান এ তাপদাহ প্রকৃতিকে রুদ্র করে তুলেছে। গরমে চারপাশ খাঁ খাঁ করছে। পানি শূণ্যতাজনিত কারণে হিটস্ট্রোকসহ নানা রোগের শঙ্কায় ভুগছে জনসাধারণ।

আবহাওয়াবিদ বলছেন, এমন পরিস্থিতি আরও কমপক্ষে দুই দিন থাকবে। এর পরে তাপদাহ সামান্য হ্রাস পেতে থাকবে। যা মানুষের সহ্য ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এছাড়া আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬০ শতাংশ। এর আগে মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটি ও কুতুবদিয়ায় ২৪.৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, তাপপ্রবাহ বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে মৌসুমী বায়ু প্রবাহ দুর্বল হয়ে পড়েছে। আকাশ মেঘ মুক্ত। সেসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপ সৃষ্টি হয়েছে যা সুস্পষ্ট রূপ ধারণ করেছে। বঙ্গোপসাগরে কোনও সমস্যা হলে এ চাপ দেশের মৌসুমী আবহাওয়ার পরিবর্তন করে থাকে। যেহেতু আমাদের স্থলে নদী-নালায় প্রচুর পরিমাণ পানি রয়েছে। বায়ুর নিম্নস্থরে যেখানে আমরা বসবাস করি সেখানে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক রয়েছে। এ জলীয় বাষ্প থাকার কারণে রাতে তাপমাত্রা কমছে না এবং দিনে সূর্য কিরণের কারণে তাপমাত্রা বেশি হচ্ছে। এর ফলে মানুষের মাঝে গরমের অনুভূতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আগামী কয়েকদিন নড়িয়া উপজেলার ভাঙন বাড়বে
-------------------------------------------------------

এমন পরিস্থিতি কতদিন থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতি আরও কমপক্ষে দুই দিন থাকবে। হয়তো তাপমাত্রা কমবেশি হতে পারে।

বুধবারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। এটি ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন :

এমসি/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তীব্র গরমে বছরে ১৯ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু
তীব্র গরম থেকে বাঁচার দোয়া
তীব্র গরমে সালাতুল ইসতিসকা আদায়ের কর্মসূচি জামায়াতের
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
X
Fresh