• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মিয়ানমারের সেনাপ্রধানকে নিষিদ্ধ করলো ফেসবুক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৭ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৪৩

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইং এবং দেশটির সেনাবাহিনী মালিকানাধীন মিয়াওয়াড্ডি টিভিসহ ২০ ব্যক্তি ও সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক।

এছাড়া ফেসবুকে অযৌক্তিক আচরণ করায় ১২টি অ্যাকাউন্ট, ৪৬টি পেজ মুছে ফেলা হয়েছে এবং ১৮টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট, ৫২টি ফেসবুক পেজ মুছে ফেলা হবে।

সোমবার দেয়া এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষ।

এতে বলা হয়েছে, আমরা এসব অ্যাকাউন্ট ও পেজের বিষয়বস্তুসহ তথ্য সংরক্ষণ করছি। মিয়ানমারে সংঘটিত জাতিগত সহিংসতা সত্যিই ভয়ঙ্কর। এই মাসের শুরুতে আমরা ফেসবুকে ঘৃণা এবং ভুল তথ্য ছড়ানো ঠেকাতে নেয়া পদক্ষেপের আপডেট শেয়ার করেছিলাম।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : মিয়ানমারের সেনাপ্রধানকে বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে: জাতিসংঘ
-------------------------------------------------------

বলা হয়েছে, আমাদের তখনকার কার্যক্রম ছিল ধীরগতির কিন্তু এখন তা অনেকখানি এগিয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা এখন ঘৃণ্য মন্তব্য চিহ্নিত এবং কন্টেন্ট রিভিউর জন্য রিপোর্টিং টুলগুলোকে আরও উন্নত করতে পেরেছি।

এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা দেশটিতে মানবাধিকারের অপব্যবহারের ক্ষেত্রে এসব ব্যক্তি ও সংগঠনকে সক্রিয় থাকার প্রমাণ পেয়েছে। আমরা চাই তারা যেন আমাদের মাধ্যমে জাতিগত বিদ্বেষ ও ধর্মীয় উত্তেজনা আর ছড়াতে না পারে।

আমরা মিয়ানমারে ফেসবুক অপব্যবহার ঠেকাতে চাই। কারণ অসংখ্য মানুষ তথ্যের জন্য ফেসবুকের ওপর নির্ভর করে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।

সোমবার মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে দেশটির সেনাপ্রধানসহ অপর পাঁচ শীর্ষ সেনাকমান্ডারকে বিচারের মুখোমুখি করার এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন।

এছাড়া এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকার জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের স্বাধীন তদন্তে সহায়তা করেছে। দোষীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। সেপ্টেম্বরে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপিত হলে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাবো।

আরও পড়ুন :

কে/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন মা
তীব্র গরমে ফেসবুকে ভাইরাল আবুল খায়েরের সেই বিজ্ঞাপন!
রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা চান হাইকোর্ট
X
Fresh