নির্ধারিত স্থানে কুরবানি দিতে এবারও সাড়া মেলেনি
সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট রাখতে মুসলিম ধর্মালম্বীরা পশু কুরবানি করেছেন। আগামীকাল ও পরশুও অনেকে কুরবানি দেবেন। পশু কুরবানির পর তার রক্ত, নাড়িভুঁড়ি যেন যত্রতত্র না ছড়িয়ে পড়ে তাই নিদিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা করেছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও রাস্তায়, অলিগলিতে যত্রতত্র কুরবানি করতে দেখা যায়। বাসা থেকে দুরত্ব ও পশু আনা নেয়ায় অসুবিধার কারণে নিদিষ্ট স্থানে কুরবানির আগ্রহ দেখাচ্ছেন না নগরবাসী। বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : জনগণ খুশি থাকলে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনবে: প্রধানমন্ত্রী
-------------------------------------------------------
বর্জ্য অপসারণের সুবিধার্থে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১ হাজার ১৫১টি স্থান পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এ বছর ৫৪৯টি স্থান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬০২ টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে উত্তরে ১৮৩টি স্থানে নগরবাসীকে কুরবানি দেওয়ার জন্য প্যান্ডেল সুবিধা ছিল। নির্দিষ্ট স্থানে নগরবাসীর জন্য বেশ কিছু সুবিধা রাখে সিটি করপোরেশন। যার মধ্যে ছিল পর্যাপ্ত পানি, স্যাভলন, ব্লিচিং পাউডার, ছোট ছোট ভ্যান গাড়ি, কসাই ও পরিচ্ছন্ন কর্মী।
কিন্তু এতো সুবিধা দেয়ার পরও বাসা থেকে নির্ধারিত স্থান দূর হয়ে হওয়ায় অনেকে নিজ বাড়ি, গলির মধ্যে পশু কুরবানি করেন।
ফলে কুরবানির পর রাস্তায় অলিগলিতে জবাইকৃত পশুর রক্ত, নাড়িভুঁড়ি বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র ছড়িয়ে পড়ে। যা অপসরণে পরিচ্ছনকর্মীদের রীতিমত হিমশিম খেতে দেখা যাচ্ছে।
এমসি/ এমকে
মন্তব্য করুন