ভোগান্তি নিয়েই ট্রেন-বাসে বাড়ি যাচ্ছেন ঈদ যাত্রীরা
শিডিউল বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে কমলাপুর থেকে ট্রেনে বাড়ি যাচ্ছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে জ্যামের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি না-আসায় কাউন্টার থেকে দেরিতে ছাড়ছে বাস। তবে এতো কষ্টের পরও ঈদে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে চান যাত্রীরা।
ঈদে ট্রেন দেরিতে ছাড়বে এটা যেন নিয়তি হয়ে গেছে যাত্রীদের জন্য। কোনও কোনও ট্রেন এক থেকে দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। আর টিকিট থাকার পরও বসতে না-পারায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বগি নোংরা থাকাটাও যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কমলাপুর স্টেশনে নার্গিস নামের এক যাত্রী জানান, ইঞ্জিনের যে উৎকট গন্ধ সেটা নিতে পারছি না। আমরা যেরকম টিকিট আশা করেছিলাম সেরকম টিকিট পাইনি।
------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : পশু আসতে শুরু করেছে রাজধানীর হাটগুলোতে
------------------------------------------------------------------
রহিমা নামের এক যাত্রী জানান, আমরা যেরকম আশা করেছিলাম, সেইরকম সিট পাইনি। কষ্ট হবে তবু বাড়ি যাচ্ছি এটাই বড় কথা।
ফাতেমা জান্নাত নামের যাত্রী জানান, ট্রেন যথাসময়ে ছাড়লে ভালোভাবেই যেতে পারব।
শিলা আক্তার বলেন, কষ্ট করেও বাড়ি যাচ্ছি। যাতে বাড়ির সবার সঙ্গে ঈদ কাটাতে পারি।
খায়রুল নামের এক যাত্রী বলেন, ট্রেন ১০.৩৫ মিনিটে ছাড়ার কথা। কিন্তু এখনও ইঞ্জিন দেখতে পারছি না। জানিনা কখন ট্রেন ছাড়বে।
রেলের এক কর্মকর্তা জানান, তিনটা ট্রেন। এক ঘণ্টার বেশি লেট হয়নি। যেমন সুন্দরবন ৫০ মিনিটের মধ্যে ছেড়ে গেছে। নীলসাগর এক ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে গেছে। আসছে একঘণ্টা বিলম্বে। সুন্দরবনও ১ ঘণ্টা বিলম্বে এসেছে। আর তিস্তা বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে একঘণ্টা বিলম্বে গেছে।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা-গোমতি সেতুর আশেপাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাই সময়মতো বাস এসে পৌঁছাচ্ছে না ঢাকায়।
বাসের চালক রহমত মিঞা জানান, মেঘনা-দাউদকান্দিতে প্রচুর জ্যাম। এটা শুধু পুলিশের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই হয়েছে।
অপর এক চালক ওবায়দুল বলেন, মেঘনা-দাউদকান্দিতে চার ঘণ্টার মতো জ্যাম। গাড়ি চালাতেই পারছি না।
মহাসড়কে জ্যামের অজুহাতে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বাস কাউন্টারগুলো।
মঈন নামের এক যাত্রী জানান, অনেক কাউন্টার ঘুরেও টিকিট পাইনি। পরে রয়েলে পাইছি। বলছে যে সাড়ে ১১টায় ছাড়বে।
জাকির নামের এক যাত্রী জানান, বাড়তি টাকা নিচ্ছে কাউন্টারগুলো। চারশ’ টাকার ভাড়া সাতশ’ টাকা নিচ্ছে।
হিরন নামের এক যাত্রী জানান সাড়ে পাঁচশ’ টাকার টিকিট সাতশ’ টাকা নিছে। এটা কোম্পানি করছে। আমরা কিছু বলতে পারব না।
তবে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে সরকারি বা মালিকপক্ষের কোনও তদারকি দেখা যায়নি বাস টার্মিনালে।
আরও পড়ুন :
জেবি
মন্তব্য করুন