নতুন আইনে শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার প্রতিফল হয়েছে: আইনমন্ত্রী
মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া নতুন আইনে শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে। যেই আপরাধের জন্য পাঁচ বছরের সাজার বিধান করা হয়েছে এটি যথেষ্ট। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মৃত্যু হলে তা ৩০২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে। বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, চালক বা সংশ্লিষ্টদের যে শাস্তির দাবি শিক্ষার্থীরা করে আসছে তার সবটাই এ আইনে রয়েছে। সুতরাং এই আইনে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।
তিনি বলেন, চালকের একটা অপরাধে এক পয়েন্ট কাটা যাবে। এভাবে ১২ পয়েন্ট কাটা গেলে তাকে আর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে না। এ অত্যাধুনিক ব্যবস্থা আগে আমাদের দেশে ছিল না। কিন্তু এটা এবার এ আইনে যুক্ত করা হয়েছে। এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়ে এবং মটরযানের রেজিষ্ট্রেশনসহ যানবাহন নিয়নন্ত্রণের বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, মটরযান নির্মাণ, যন্ত্রপাতি বিন্যাস, ওজনসীমা নির্ধারণ এবং পরিবেশ দূষণসহ বেশকিছু ইস্যুতে এখানে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও বীমা ব্যবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা থাকছে এ আইনে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়া চালক সমিতি, মালিক ও সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করার নির্দেশনা রয়েছে এ আইনে। এ ট্রাস্টি বোর্ডের কাজ হবে তহবিল তৈরি করা। দুর্ঘটনা ঘটলে ইন্সুরেন্সের সমস্যা সমাধানে যে সময় লাগে সেই সময়ে উক্ত তহবিল থেকে দ্রুত সহযোগিতার ব্যবস্থা করতে পারে।
আরও পড়ুন :
এমকে
মন্তব্য করুন