• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হাফ ভাড়া দিতে চাই বলে আমাদের বাসে নেয় না

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০১ আগস্ট ২০১৮, ২০:০২

ছাত্ররা বাস থামাতে বললে বাস থামে না। উল্টো বাস জোরে চলে যায়। হাফ ভাড়া দিতে চাই বলে আমাদের তারা বাসে নেয় না। আমাদের আন্দোলন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন না। এ আন্দোলন চলবে যতদিন পর্যন্ত সরকার আমাদের দাবি না মেনে নেবে।

বুধবার রাজধানীর পান্থপথে নিরাপদে সড়ক চলাচল ও বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এভাবেই তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আন্দোলন করছি সকলের জন্য। আমরা আশ্বাস শুনতে চাই না। আমরা বিচার চাই। আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। যারা মারা গেছেন তারা আমাদের আত্মীয় কিংবা স্বজন নন, তারা শিক্ষার্থী। আমাদের ভাই-বোন। আমরা ওই চালক-হেলপারের শাস্তি চাই।

নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই, যারা অনভিজ্ঞ, যাদের বয়স কম তারা গাড়ি চালাচ্ছে। আমরা চাই এসব বন্ধ হোক। যারা আমাদের ভাই-বোন চাপা দিয়ে মেরেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

ওয়াল্ড ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী বলেন, বাস চাপায় আমরা ভাই-বোন হারিয়েছি। কিন্তু প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে চালকের অসর্তকতা ও অনাভিজ্ঞতার কারণে। সকাল থেকে আমরা অনেক গাড়িকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে বলি কিন্তু তারা দেখাতে পারিনি। লেগুনা রাস্তায় যেভাবে চলে মনে হয় মৃত্যুদূত চারপাশে ঘুরছে। এসব বিষয় সমাধান না করা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।

সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বারডেম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু করে রামপুরা, বনশ্রী, ধানমন্ডি, উত্তরা এলাকাতেও সড়ক অবরোধ করে তারা।

এছাড়া সকাল থেকে মতিঝিল, গাবতলী, বাড্ডা, মহাখালী, বনানী কাকলীসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা বাস, ট্রাক ও লেগুনা চালকদের লাইসেন্স, রুট পারমিট ও গাড়ির কাগজপত্র দেখতে পুলিশের ভূমিকায় নামে। শুধু পাবলিক গাড়ি নয় পুলিশের কাছেও লাইসেন্স দেখতে চায় শিক্ষার্থীরা।

গত রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে মৃত্যু হয় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মীম ও আব্দুল করিমের।

এরপর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এ হত্যার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। আজ চতুর্থ দিনের মতো তারা রাস্তায় নামে।

এমসি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, নিহত ৩
কচুয়ায় বাসচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর 
দাঁড়িয়ে থাকা বাসে পিকআপের ধাক্কা, আহত ১০ 
‘এখন আমার কি হবে, মনুরে লইয়া কোন পথে যামু’
X
Fresh