আমার সময়ে কয়লা চুরি হয়নি: সাবেক এমডি
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম নুরুল আওরঙ্গজেব দাবি করেছেন, তিনি দায়িত্বে থাকার সময় খনির কয়লা নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি। ওই সময়ে কয়লা চুরিও হয়নি।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন।
জালিয়াতির মাধ্যমে খনির ২০০ কোটি টাকার কয়লা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলম।
নুরুল আওরঙ্গজেব বর্তমানে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানির এমডি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
কয়লা লোপাটের ঘটনায় গত ২৭ জুলাই রাত ১২টায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে খনির ১ লাখ ৪৫ হাজার টন কয়লা গায়েবের অভিযোগ আনা হয়। যার তদন্তের ভার পড়ে দুদকের ওপর।
এরই ধারাবাহিকতায় মামলার ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ২১ জন কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয় দুদক।
দুদক জানায়, ২০০৫ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। দীর্ঘ ১৩ বছরে কয়লা উত্তোলন হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ টন। বর্তমানে কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুত থাকার কথা ১ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু বাস্তবে কয়লার মজুত পাওয়া গেছে ১৪ হাজার টনের মতো। ১ লাখ ১৬ হাজার টনের মতো কয়লার কোনও হদিস নেই। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র চুরি করে খোলা বাজারে এসব কয়লা বিক্রি করে দিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন