মেয়ের ছাতা হাতে নিয়ে কাঁদছেন দিয়ার বাবা
রাজধানী বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর একজন দিয়া খানম ওরফে মীমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম দুর্ঘটনাস্থলে পাওয়া মেয়ের ব্যবহৃত দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ছাতা হাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
দুই সহপাঠী নিহতের প্রতিবাদে সোমবার সকালে বিমানবন্দর সড়কে বিক্ষোভ করেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। আশেপাশের কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই বিক্ষোভে যোগ দিতে আসেন জাহাঙ্গীর আলমও।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তিনি মেয়ে হত্যার বিচার চান। এটা তো দুর্ঘটনা না। এটা হত্যা? অনেক কষ্টের জীবন তার। মেয়েকে বুঝতে দেননি যে তিনি কষ্টে আছেন। শুধু চেয়েছেন মেয়েটা বড় হোক। মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল তার। সব শেষ হয়ে গেলো।
বাসচাপায় মেয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি ৩০ বছর ধরে ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে একতা পরিবহনের বাস চালান।
রোববার দুপুরে রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল করিম নিহত হন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
--------------------------------------------------------
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আব্দুল্লাহপুর থেকে মোহাম্মদপুর রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের একটি বাসের চালক হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারান। এসময় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর বাসটি উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মিম ও করিম।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন