ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে হলি আর্টিজান
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার দুই বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৬ সালের ভয়াল সে রাতে মারা যান দেশ বিদেশের ২২ নাগরিক। তাই নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাতে হলি আর্টিজানে ছুটে আসেন আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
নিহতদের স্মরণে হলি আর্টিজান ভবনের সামনের দেয়ালে বানানো হয় অস্থায়ী বেদি। এ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান তারা। এর মধ্যে সকাল সাতটার দিকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় ইতালি ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা জানান।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
--------------------------------------------------------
সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. শাহাব উদ্দিন কোরেশী।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতারা শ্রদ্ধা জানান।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জঙ্গিবাদ দুর্বল হয়েছে, নির্মূল হয়নি। জঙ্গিবাদ নির্মূলে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ হামলা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারেনি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার চার্জশিট দেয়া হচ্ছে। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনাকে আমরা আইনি ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করে যাচ্ছি। জড়িতরা শাস্তি পাবেই।
এরপর বেলা ১১টায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) পক্ষ থেকে মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী থানা চত্বরে হলি আর্টিজান হামলায় নিহত দুই পুলিশ সদস্যের স্মরণে দৃপ্ত শপথ নামে একটি ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হয়। এটি উদ্বোধন করেন ওই হামলায় নিহত বনানী থানার সাবেক ওসি সালাউদ্দিন খানের স্ত্রী।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে নয় ইতালিয়ান, সাত জাপানিজ, একজন ভারতীয়, একজন আমেরিকান-বাংলাদেশ দ্বৈত নাগরিক ও দুজন বাংলাদেশি এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে। জঙ্গিরা রেস্টুরেন্টে আগত অন্যান্য অতিথি এবং কর্মচারীদের রাতভর জিম্মি করে রাখে। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ অভিযান চালায়। এতে পাঁচ জঙ্গি ও একজন শেফ নিহত হয়।
আরও পড়ুন:
এমসি/পি
মন্তব্য করুন