• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ফ্লাইওভারে পানি জমলে সরানোর দায়িত্ব কার? (ভিডিও)

মিথুন চৌধুরী

  ৩০ জুন ২০১৮, ২১:২৩
ফাইল ছবি

রাজধানীতে একটু বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হয়। ডুবে যায় রাজধানীর মূল সড়কসহ অলিগলি। কিন্তু এ পানি এখন রাজপথ থেকে ফ্লাইওভারের ওপরেও স্থান করে নিয়েছে। বৃষ্টি হলে এখন পানি জমে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারেও। ফলে রীতিমতো মরণ ফাঁদে রূপ নিয়েছে ফ্লাইওভারটি। মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লাইওভারে পানি জমে থাকার কোনও কারণ নেই। রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কারণে ফ্লাইওভারে পানি জমছে। এভাবে পানি জমলে যান চলাচলে দুর্ঘটনার পাশাপাশি ফ্লাইওভারের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

------------------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : হাওরের কোটি টাকার প্রকল্প শুধু দলিলে: তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী
------------------------------------------------------------------------------

শনিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার ঘুরে দেখা যায়, ফ্লাইওভারের বেশিরভাগ লুপে পানি নিষ্কাশনের স্থানে জমে আছে আবর্জনা ও বালির স্তুপ। অনেক স্থানে বালির স্তুপের উপর জন্মেছে আগাছা। দেখেই মনে হচ্ছে অনেকদিন ধরে পরিষ্কার করা হয়নি ফ্লাইওভার। শুধু ফ্লাইওভারের মুখে নয়, ফ্লাইওভারের ওপরের সড়কের পাশে বালুর স্তর থেকে মনে হয় যেন রাস্তার ওপর বালির প্রলেপ দেয়া হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই ফ্লাইওভারে ওপরে সড়কে পানি জমে থাকে।

বৃষ্টির সময় বালি ও আবর্জনার স্তুপ সড়কের মাঝখানে চলে আসে। এতে চলাচলকারী যানবাহনগুলো রীতিমতো মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয় বলে জানিয়েছেন ফ্লাইওভারের নিরাপত্তাকর্মীরা।

তারা বলেন, একটু বৃষ্টিতে পানি জমে। ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর ঝাড়ু দেয়া হয়নি। ফলে বালু জমে আছে। সবসময় এ বালু উড়তে থাকলেও বৃষ্টিতে রাস্তায় স্তর তৈরি করে এসব বালু। এছাড়া আশপাশে থাকা অনেক বাড়ির ময়লা ফেলানো হয় ফ্লাইওভারে। যা জমে থাকে পানিতে। ফলে বৃষ্টিতে জমে থাকা স্থানগুলোতে শ্যাওলা পড়ে পিচ্ছিল হয়ে থাকায় বিশেষ করে মোটরসাইকেল আরোহীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। রাতে এ স্থানগুলো আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। বৃষ্টিতে মোটরসাইকেল চালকরা বিপদে পড়েন। অনেক সময় গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় জ্যাম।

কয়েকদিন আগে আধঘণ্টার বৃষ্টিতে ফ্লাইওভারে দীর্ঘক্ষণ পানি জমে থাকতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম-সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ফ্লাইওভার, ওভারব্রিজ কিংবা আন্ডারপাস যে কোনও স্থানও হোক না কেন, এ ধরনের বৃহৎ প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। বিশ্বের অনান্য দেশে যে কোনও ধরনের প্রকল্প হাতে নিলে প্রকল্প খরচের সাথে ৫ থেকে ৮ শতাংশ ব্যয় ধরা হয় রক্ষণাবেক্ষণ কাজে; যা প্রতিবছর দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ছাড়া প্রকল্প ধরা হয়। পরে প্রকল্প শেষে স্থানীয় সরকার কিংবা সিটি করপোরেশনের কাছে দেয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার কিংবা সিটি করপোরেশনকে এ প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাড়তি খরচ দেয়া হয় না। অভিভাবকহীন থাকে প্রকল্পগুলো। এদিকে সরকারকে নজর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মন্ত্রীদের কাছে দাবি করেছিলাম, যাতে তারা পরিকল্পনা কমিশন ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেয় যে, প্রতিটি বড় প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ যোগ করে প্রকল্প প্রণয়ন করেন।

এ বিষয়ে মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ফ্লাইওভারে পানি জমার বিষয় আমরা জানি। ফ্লাইওভারগুলোর পানি অপসারণের মুখগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমনটা হতে পারে। ফ্লাইওভারটি দেখভালের দায়িত্ব সংকটের কারণে এমনটি হচ্ছে। ঢাকার দক্ষিণ ও উত্তর দুই সিটিতে এলাকা অনুসারে দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হবে শিগগিরই। এরপর তারাই এসব বিষয়ে নজরদারি করবে।

আরও পড়ুন :

বিশেষ গোপনীয় কারণে ইয়াবায় আসক্ত নারীরা

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh