বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য
সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশায় ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা
সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশার কারণে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ণ বর্ষা মৌসুমে ও উত্তাল নৌ-পথে যাতায়াতের ঝুঁকি, রেলপথে মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন, কোচ ও ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে শিডিউল বিপর্যয়ের শঙ্কার মধ্যদিয়ে ঈদ যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। ঈদ যাত্রার বহরে ৫ কোটি যাত্রীর ১৫ কোটি ট্রিপ সামাল দিতে সড়ক রেল ও নৌ-পথ প্রস্তুত নয়। এ দাবী বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির।
আজ বুধবার নগরীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলোনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ঈদ যাত্রায় দূর্ভোগ : নাগরিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রতি ঈদে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ কারণে দূরপাল্লার বাস ঢাকা ছাড়তেই ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। যাত্রাবাড়ীতে প্রবেশপথ কাঁচপুর মহাসড়ক আট লেনে উন্নীত করা হলেও সুফল মেলেনি। দু'পাশের দুই লেন চলে গেছে পার্কিংয়ে। আর দুই লেনে গাড়ি চলে উল্টো পথে। গাবতলী এলাকায় অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করা হলেও তা আবার ফিরে এসেছে। টার্মিনালের সামনের রাস্তায় বাস থামিয়ে যত্রতত্র যাত্রী তোলা হচ্ছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : রাজধানীর পরীবাগে বিদ্যুৎ অফিসে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস
--------------------------------------------------------
সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ভাঙাচোরা সড়ক, দীর্ঘ যানজট, দুর্ঘটনা, বাসের ট্রিপ-সংখ্যা ঠিক রাখতে বেপরোয়া গতি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঈদে মহাসড়কে দূর্ভোগে পড়তে হবে ঘরমুখো লাখো যাত্রীকে। নিমার্ণে সঠিক মাত্রায় উপকরণ ব্যবহার না করা, সময় মতো সংস্কার না করা, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেশের ৪০ শতাংশ সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশা।
এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রী পরিবহনে সড়ক পথে ৪৪,৩৭৪ টি বাস, ২৭,৯৬২ টি মিনিবাস রয়েছে। নৌ-পথে ৪,২২১ টি ছোট-বড় লঞ্চ, রেল পথে পূর্বাঞ্চলে ৪৮ টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ৪৪ টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ৭ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন, ৭৩ টি লোকাল ও কমিউনিটার ট্রেন আমাদের যাতায়াতের বহরে রয়েছে। যা স্বাভাবিক সময়ে প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৩৩ শতাংশ কম।
সংগঠনের পর্যবেক্ষণ মতে, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের চার লেনে উন্নীতর কাজ চলমান থাকায় যাত্রী সাধারণ দুর্ভোগে পড়বে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও এই মহাসড়কের সুফল আটকে গেছে কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী সেতু ও টোলঘরে ও ফেনী ফতেহপুরের নির্মানাধীন ফ্লাইওভারে।
এ ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ১৫ লাখ, দেশব্যাপী এক জেলা থেকে অপর জেলায় যাতায়াত করবে আরও প্রায় ৩ কোটি ৮৫ লাখ যাত্রী। সব মিলিয়ে ৬ দিনে প্রায় ১৫ কোটি ট্রিপ যাত্রী ঈদ যাত্রার বহরে থাকবে। এ বিশাল যাত্রীর চাপ সামাল দেয়ার মতো গণপরিবহন ব্যবস্থা অথবা রাস্তা আমাদের নেই বলে জানায় সংগঠনটি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ডিটিসিএর সাবেক নিবার্হী পরিচালক ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ প্রমুখ।
আরও পড়ুন :
- নোংরা পানি দিয়ে তৈরি হয় রস মিষ্টি, ১২ লাখ টাকা জরিমানা
- ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় তদন্ত হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন