• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আওয়ামী লীগকে নতুন নেতৃত্বের কথা চিন্তা করতে হবে : শেখ হাসিনা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৭ মে ২০১৮, ১৮:১৮

৩৭ বছর হয়ে গেছে এ দলের (আওয়ামী লীগ) সভাপতি হিসেবে, এতগুলো বছর থাকাটা বোধ হয় সমীচীন নয়। আওয়ামী লীগকে মনে হয় ধীরে ধীরে চিন্তা করতে হবে তার নতুন নেতৃত্বের কথা। বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আজ সকালে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সততার সঙ্গে রাজনীতি করতে হবে। পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মেলাবেন না। কতটুকু দিতে পারলাম, কতটুকু করবো সেটাই বড় কথা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে, সংগঠন যদি শক্তিশালী হয়, সংগঠনে যদি ঐক্য থাকে আর এই সংগঠন যদি জনগণের পাশে থেকে জনমত সৃষ্টি করতে পারে তখনই যেকোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব হয়। যা আমরা বার বার প্রমাণ করেছি।

১৯৭৫ এর বিয়োগান্তক অধ্যায়ের পর শেখ হাসিনা প্রবাসে দীর্ঘদিন রিফ্যুজি হিসেবে কাটাতে বাধ্য হবার পর আওয়ামী লীগ তাকে সভাপতি নির্বাচন করলে ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেইদিন প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই তাকে বরণ করে নেয়ার জন্য মানুষের যে ঢল দেখেছেন, মানুষের যে ভালবাসা পেয়েছেন তা তাকে এখনও আপ্লুত করে।

মা-বাবা ভাই, পরিজনদের হারিয়ে বাংলার মানুষের কাছ থেকে পাওয়া ভালবাসাই তাকে চলার পথ দেখিয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের আশ্রয়েই আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টে চলে গেছে তা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া এবং দেশের গণতন্ত্রায়ন ও নিরন্ন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার রাজনীতির লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এক কঠিন সময়ে তিনি দেশে ফেরেন। জাতির পিতার খুনিরা তখন পুরস্কৃত হয়ে বহাল তবিয়তে, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স থাকায় পিতা হত্যার বিচার চাইতে পারছেন না, জিয়া তখন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রতিরাতে কারফিউ দিয়ে দেশ চালাচ্ছে। আর ভাঙ্গার চেষ্টা চলছে আওয়ামী লীগকে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন :রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন খুবই জটিল-কঠিন প্রক্রিয়া: পররাষ্ট্র সচিব
--------------------------------------------------------

তিনি অভিযোগ করেন, ১৯টি ক্যু করে সেনাবাহিনীর বহু মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসার-সৈনিকদের হত্যা এবং বিমানবাহিনীর ৫৬২ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া নিহত হবার পর বিচারের নামে প্রহসন করে ১২ জন তরুণ অফিসারকে মারা হলো, অনেকে কিছুই জানে না ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছে তাকেও ফাঁসি দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার করছি এবং এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে যারা সাক্ষী দিয়েছে তাদের ওপরও কিন্তু অনেক সময় অত্যাচার হয়েছে। কাজেই আমাদের একটু নজরে রাখতে হবে যারা সাক্ষী দিয়েছেন তাদের ওপর কেউ যেন অত্যাচার করতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কেউ সাক্ষীদের নির্যাতন বা অত্যাচার করেন তাহলে তারাও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের সম্মুখীন হবে এবং তাদেরও একেবারে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদ, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এবং ডা. দিপু মনিসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন :

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জনগণের জানমাল রক্ষার্থে বিএনপির সমাবেশের দিনে কর্মসূচি দিই: কাদের
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী 
ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় শাহবাগ থানায় জিডি
বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১১ চুক্তি-সমঝোতার সম্ভাবনা
X
Fresh