ফিলিস্তিন ইস্যুতে শেখ হাসিনাকে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর ফোন
জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডে ডাকা ওআইসি বিশেষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে আমন্ত্রণ জানান তিনি। এসময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ১৫ মিনিট কথা হয়।
বিনালি ইলদিরিম শেখ হাসিনাকে বলেন, আগামী ১৮ মে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে একটি বিশেষ সম্মেলন আহ্বান করেছে ওআইসি। এতে যোগ দেয়ার জন্য আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি একটি সময়োচিত পদক্ষেপ। এই ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহকে এক হতে হবে। ফিলিস্তিনের নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের শক্তি প্রয়োগ মানবাধিকার লঙ্ঘন।
এসময় জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলার দূতাবাস খোলার আগে থেকেই এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ করে আসছিল ফিলিস্তিনিরা।
গত সোমবার জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামলে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীর ওপর গাজার আকাশ থেকে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা হয়।
কাঁটাতারের বেড়ার ওপার থেকে ইসরায়েলি সেনারা ছুঁড়তে থাকে গুলি। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে ইসরায়েলি সেনাদের ছোঁড়া টিয়ারশেল আকাশ থেকে পড়তে থাকে বৃষ্টির মতো।
এই ঘটনায় হাজারও বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনি গুলি ও টিয়ারশেলের আঘাতের শিকার হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুসহ ৬০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়।
এই ব্যাপারে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এটাকে বর্বরোচিত আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে তুরস্ক এই ঘটনাকে হত্যাযজ্ঞ বলে বর্ণনা করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার জেইদ বিন রাদ জেইদ আল হুসেইন বলেছেন, যারা এই জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
কে/
মন্তব্য করুন