মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ময়মনসিংহের রিয়াজউদ্দিন ফকিরের রায় বৃহস্পতিবার
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার রিয়াজউদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে আগামীকাল বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ২১ মার্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছিলেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর ঋষিকেষ সাহা।
এ মামলার আসামি রিয়াজউদ্দিন ফকির কারাগারে আছেন। ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি হবে ৩২তম রায়। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত এ ট্রাইব্যুনাল এর আগে আরও ৩১টি মামলার রায় ঘোষণা করেছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আজ ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকী
--------------------------------------------------------
এ মামলায় প্রাথমিকভাবে তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলও অভিযোগ গঠনের আগে গ্রেপ্তার আসামি আমজাদ আলী কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরে তার নাম বাদ দেয়া হয়। আরেক আসামি ওয়াজ উদ্দিন মারা যান পলাতক অবস্থায়। অভিযোগ গঠনের পর তার মৃত্যুর বিষয়টি জানা গেলে ট্রাইব্যুনাল তার নামও বাদ দেয়।
২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকউশনের তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, একাত্তরে রিয়াজ উদ্দিন ফকির ছিলেন আলবদর সদস্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে দেয়া অভিযোগপত্রে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের পাঁচটি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২২ আগস্ট থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে ফুলবাড়িয়া উপজেলার বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড, রাঙ্গামাটিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন বানা নদী, দিব্যানন্দ ফাজিল মাদরাসা, ফুলবাড়িয়া ঋষিপাড়া, আছিম বাজার ও ভালুকজান গ্রামে আসামিরা মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান।
আরও পড়ুন :
পি
মন্তব্য করুন