• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঐশীর বাবা-মা হত্যা : গৃহকর্মী সুমি খালাস

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৬ মে ২০১৮, ১৭:০৩

রাজধানীর চামেলীবাগে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্ন রহমান হত্যা মামলায় গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার শুনানি শেষে রোববার ঢাকার ১ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক আল মামুন এ আদেশ দেন।

ওই হত্যাকাণ্ড যখন ঘটে সুমির বয়স ছিল তখন ১১ বছর। গৃহকর্মী সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মামলার তার অংশের বিচার চলে শিশু আদালতে।

শিশু আদালতে ২০১৪ সালের ২০ মে অভিযোগ গঠন করে সুমির বিচার শুরু করেন বিচারক। ওই বছর ১ জুন গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে মা সালমা বেগমের জিম্মায় জামিনে মুক্তি দেয়া হয় এই কিশোরীকে। রায় দেয়ার সময় সে আদালতে হাজির ছিল।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : হিমঘরে রাখা মৃত শিশুর গাল ছিড়ে খেল ইঁদুর
--------------------------------------------------------

২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর নিহতদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০১৭ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট ঐশীর দণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবনের আদেশ দেন।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্ন রহমানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন মাহফুজুরের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এর পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে। পরে গ্রেপ্তার করা হয় আরেও দুই আসামি রনি ও জনিকে।

২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ঐশী।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির পরিদর্শক আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুইটি চার্জশিট দাখিল করেন।

এ মামলায় ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ঐশীর চাচা মো. মশিহুর রহমান রুবেলসহ ৪৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন :

এমসি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টাইমস স্কয়ার বিলবোর্ডে বাংলাদেশের ৮ শিল্পী
X
Fresh