ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালিত
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় আজ নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ, মিলাদ মাহফিলসহ ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় পালিত হয়েছে মহিমান্বিত রাত পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের আশায় রাতভর মগ্ন ছিলেন ইবাদত বন্দেগিতে।
সওয়াব পাওয়ার আশায় আর গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে শবে বরাতের রয়েছে অতুলনীয় মর্যাদা। তাই নফল ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত, ইবাদত বন্দেগি, জিকির-আসকার আর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ফজিলতের এই রাত পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে হয়রানি, ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
--------------------------------------------------------
এই রাতেই মানুষের ভালো মন্দের আমলনামা তুলে ধরা হয় মহান আল্লাহ পাকের দরবারে। শবে বরাতের এই মহিমান্বিত রাতে প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন স্বজনরা।
রাতভর ইবাদত বন্দেগি আর দীর্ঘ সেজদার পর মুমিন মুসলিমরা দু হাত তুলে ধরেন মহান আল্লাহ পাকের দরবারে। পাপ মুক্তি আর পরম করুণাময়ের অপার সন্তুষ্টি অর্জনে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।
মহিমান্বিত এ রজনী ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আজ রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওয়াজ মাহফিল, কোরআন তিলাওয়াত, মিলাদ, হামদ, নাত, নফল ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় এবং আখেরি মোনাজাত।
পবিত্র এ রাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদ সারা রাত খোলা ছিল।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
পবিত্র শবে বরাত সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীতে আতশবাজি, পটকা ফাটানো এবং যেকোনো ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন :
এ/পি
মন্তব্য করুন