• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনীতি, গুম-খুন

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২২ এপ্রিল ২০১৮, ১১:৫৪

যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৭ সালের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্বাধীনতা সীমিতকরণ, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, বেআইনি আটক এবং সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক গুমের ঘটনা উঠে এসেছে। একইসঙ্গে বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যম এবং বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কার্যক্রমসহ নাগরিক স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন সুলিভান প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে স্বাধীনতার অভাব, দুর্নীতি, সহিংসতা এবং লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ ও নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠী নির্বিশেষ বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনীকে ক্ষমতার অপব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যাপক দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। আর নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন এবং হত্যার ঘটনা তদন্ত ও বিচারে সরকার সীমিত পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও দাবি করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রের ভাষায় জামায়াত এনজিও!
--------------------------------------------------------

মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে। গেলো ২০১৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং তার দল আওয়ামী লীগ পুনর্নির্বাচিত হয়েছে। যদিও স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ওই নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হয়নি বলে উল্লেখ করেছে।

সেখানে বলা হয়, দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বয়কট করে। এতে অর্ধেকের বেশি আসনে কোনো ভোট হয়নি আর বাকিগুলোতে নামমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে সরকার আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও দুর্নীতি মামলা দেয়া হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, বাসে আগুন দেয়া এবং বোমা নিক্ষেপের ৮৬ মামলা দেয়া হয়েছে। বিরোধী দলের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসবাদের তকমা পাওয়া জামায়াতে ইসলামী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিপীড়নে প্রকাশ্যে কর্মকাণ্ড চালাতে পারছে না।

এদিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সরকারের সমালোচক গণমাধ্যমগুলো হুমকির মুখে রয়েছে এবং তাদের আয় কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই সরকারের বৈরী আচরণ থেকে বাঁচতে গণমাধ্যমগুলো সেলফ-সেন্সরশিপ মেনে চলছে।

সংবিধানে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকারের কথা বলা আছে। কিন্তু সরকার এটা সীমিত করেছে। ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের ক্ষেত্রে মহানগর পুলিশ থেকে আগেই অনুমতি নিতে হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনে বিচার বিভাগ স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এই স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে। এছাড়া বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রসঙ্গে বলা হয়, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানিয়েছে, ২০১৭ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘ক্রসফায়ারে’ ১৬২ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে ওই বছরের মার্চে আইএস জঙ্গিরা তিনটি সন্ত্রাসী হামলা চালায়।

অন্যদিকে মানবাধিকার সংগঠন এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী গুম এবং অপহরণ অব্যাহত রয়েছে। এগুলোর কিছু নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে এবং তদন্তে সরকারকে সীমিত প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গুমের ক্ষেত্রে পুলিশ কিছু ব্যক্তিকে আইনি পদক্ষেপ না নিয়েই ছেড়ে দেয়। কিছু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। কিছু ব্যক্তিকে মৃত পাওয়া যায়। কোনো কোনো ব্যক্তিকে আর কখনও খুঁজে পাওয়া যায় না। আসকের তথ্য মতে, ২০১৭ সালে ৬০ জনকে গুম করা হয়।

আরও পড়ুন :

এ/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তথ্য সুরক্ষায় কোলোসিটির হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৫ এপ্রিল)
খেলাপি ঋণ ও ভর্তুকি কমানোর পদক্ষেপ জানতে চায় আইএমএফ
রোববার যেসব এলাকায় ব্যাংক বন্ধ থাকবে 
X
Fresh