• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বিটুমিনে দুর্নীতি, কংক্রিটের সড়ক করার সুপারিশ দুদকের

শাহীনুর রহমান

  ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ১৮:০৪

দেশে সড়কের পিচ ঢালাইয়ে তরল জাতীয় বিটুমিনের ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। যদিও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে তরল জাতীয় বিটুমিনের পরিবর্তে গাঢ় বিটুমিন ব্যবহার নিশ্চিত করতে গত জুলাইয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ তেমন নেই।

অভিযোগ আছে, নির্দেশনা বাস্তবায়নে তদারক কম থাকায় ঠিকাদারেরা কম দামের ৮০-১০০ গ্রেডের তরল বিটুমিন ব্যবহার করছেন। এতে সড়কগুলো টেকসই হচ্ছে না।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : অবৈধভাবে টাকা পাচারকারী বিদেশিদের ধরতে নামছে এনবিআর
--------------------------------------------------------

এ অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক বলছে, বিটুমিন নয়, সড়ক টেকসই করতে কংক্রিট ব্যবহার করা যেতে পারে। এজন্য সরকারের কাছে সুপারিশও করেছে দুদক।

সড়কে দুর্নীতি কমাতে দুদক যেসব সুপারিশ করেছে, তার মধ্যে আছে- প্রকল্পের ক্রয়, নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে গণশুনানি ও সামাজিক নিরীক্ষার আয়োজন করা। ঠিকাদারদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন, নির্মাণ, সংস্কার বা মেরামত কার্যাদি সম্পন্নের পরবর্তী একটি যৌক্তিক সময় পর্যন্ত ওই কাজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিজ খরচে বাস্তবায়নকারী বা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওপর আইনানুগভাবে অর্পণ করা যেতে পারে।

সুপারিশে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর সব রকম মেরামত কাজ ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সবশেষ নির্দেশনায় ৮০-১০০ গ্রেডের পরিবর্তে ৬০-৭০ গ্রেডের গাঢ় বিটুমিন ব্যবহারের কথা বলা হয়। কিন্তু সড়ক নির্মাণে গাঢ় বিটুমিনের পরিবর্তে তরল-পাতলা বিটুমিন ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, দেশে দুই ধরনের বিটুমিন বাজারজাত হয়। একটি ৬০-৭০ গ্রেডের, যা অধিকতর গাঢ়। এই শ্রেণির বিটুমিন রাস্তার পিচ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হলে তা উন্নত ও টেকসই হয়ে থাকে। আর ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন কিছুটা তরল। তরল বিটুমিন দিয়ে পিচঢালাই হলে রাস্তা টেকসই হয় না।

৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন গুণগতমানে তরল বা পাতলা হওয়ার কারণে গ্রীষ্মকালে সড়কগুলো গলে ঢিবির মতো উঁচু-নিচু বা ঢেউয়ের আকৃতি ধারণ করে। এতে সড়কে সৃষ্টি হয় অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। আবার বর্ষায় বৃষ্টির সময় ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়।

সড়কের এই দুর্নীতি বন্ধে এবং সড়ক টেকসই করতে একগুচ্ছ সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে নিশ্চিত করে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ওভারলোডিং এর ফলে মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মহাসড়কের ‘জীবন সময়’ সমাপ্তির আগেই মহাসড়ক বিধ্বস্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই সড়ক কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে নিম্নমানের কাজ ওভারলোডিং এর দোহাই দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই ওভারলোডিং নিয়ন্ত্রণ করার পরই নিম্নমানের কাজের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে।

আরও পড়ুন :

এসআর/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ত্রিশালে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
স্ত্রীসহ সাবেক এমপির পিএসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পিকআপ-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
‘আ.লীগ সরকার সরকারিভাবে ইফতার বন্ধ করেছে’
X
Fresh