• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জঙ্গি সম্পৃক্ততায় জড়িত ২ নারী গ্রেপ্তার

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৬ এপ্রিল ২০১৮, ০৮:৪৮

নব্য জেএমবির সদস্য ও জঙ্গি সম্পৃক্ততায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তাদের একজনের নাম হোমায়রা ওরফে নাবিলা। তিনি জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাকে রাজধানীর গুলশান থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নাবিলা নব্য জেএমবির নারী শাখা ‘ব্যাট উইমেন’-এর প্রধান ছিলেন। ধনাঢ্য ব্যক্তির সন্তান নাবিলা নিয়মিত জঙ্গিকাজে অর্থায়ন করতেন।

১৫ আগস্ট হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অভিযান চালিয়ে পুলিশ যে জঙ্গি হামলার চেষ্টা নস্যাৎ করে। সেই ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে প্রথমে খুলনা থেকে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী সাইফুলের বন্ধু আবদুল্লাহ বিন মোসাদ্দেক সামিকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গত ২০ নভেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হয় করিম ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার তানভীর ইয়াসিন করিমকে। নাবিলা হলেন তানভীরের স্ত্রী।

নাবিলা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও মালয়েশিয়ায় পড়ালেখা করেছেন। হোমায়রার বাবার রাজধানীর হাতিরপুলে একটি বিলাসবহুল শপিং মল রয়েছে।

অন্যদিকে জঙ্গি তামিম গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় গোয়েন্দা পুলিশ বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে। তার নাম সাদিয়া আফরোজ নীনা। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান শাখার অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী।তার বাড়ী হাতীবান্ধা উপজেলার সিংঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনি গ্রামে এবং তার বাবার নাম নুরুল হক বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আটক সাদিয়ার কাছ থেকে পাওয়া তিনটি মোবাইলসেটে মানসিক উত্তেজনা কর ও বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের জখমের ছবি, আগ্নেয়াঅস্ত্র ব্যবহারের ফুটেজ ও বিভিন্ন জঙ্গি নেতাদের ছবি ও তাদের বক্তব্যের ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে তার মুঠোফোনে টেলিগ্রাম, অরবিট, অরফক্স নামে তিনটি অ্যাপস (ফিচার) আছে।

এসব অ্যাপস ব্যবহার করে ওইসব ছবি ও ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে জঙ্গি সদ্যদের উদ্বুদ্ধ করে অভিযুক্ত সাদিয়া আফরোজ নীনা দেশের অভ্যান্তরে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করে আসছে।

পুলিশের দায়ের করা ওই মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) নিজ নামে মোট তিনটি আইডি খোলে জিএমবির সক্রিয় সদস্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সাদিয়া আফরোজ নীনা।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh