• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রিট খারিজ, চাকরিতে কোটা প্রথা থাকছেই

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ মার্চ ২০১৮, ১৩:০৬

চাকরি ক্ষেত্রে কোটা প্রথা পুনর্মূল্যায়ন চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গেলো ৩১ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত রিট দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও দুই সাংবাদিক। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া।

রিটে বিবাদীরা হলেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, আইন সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, পিএসসির চেয়ারম্যান।

আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া জানান, ১৯৭২ সালে এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, বেসরকারি, প্রতিরক্ষা, আধা সরকারি এবং জাতীয়করণকৃত প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ত্রিশ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা ও দশ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য কোটা প্রবর্তন করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে কোটায় সংস্কার ও পরিবর্তন আনা হয়।

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি নিয়োগে সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা বিদ্যমান রয়েছে। যেমন- প্রতিবন্ধী এক শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাতি-নাতনি ত্রিশ শতাংশ, নারী দশ শতাংশ, জেলা কোটা দশ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পাঁচ শতাংশ। এ কোটা প্রথা সংবিধানের ১৯,২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে পালিয়ে আসে ৪শ’ স্বাধীনতাকামী বাঙালি
--------------------------------------------------------

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে তা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ পাঁচ দফা দাবিতে সারাদেশে গেলো রোববার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চাকরি প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সকাল ১১টা থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচি পালন করেন। একই দাবিতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কোটা সংরক্ষণের কারণে ২৮তম বিসিএসে ৮১৩টি, ২৯তম ৭৯২টি, ৩০তম ৭৮৪টি, ৩১তম ৭৭৩টি আর ৩৫তম বিসিএসে ৩৩৮টি পদ খালি ছিল। তবে ৩৬তম বিসিএসে কোটা পূরণ না হওয়ায় ৩৭তম থেকে তা পূরণ করা হয়েছে।

২০১৩ সালে বিদ্যমান কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও বেশি দূর এগোয়নি। এবার আবার কোটা সংস্কার দাবিতে মাঠে নেমেছেন তরুণ বেকাররা, যারা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিলেও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ভালো প্রস্তুতি থাকার পরও নিয়োগ না পাওয়া বা উত্তীর্ণ হতে না পারার জন্য তারা কোটা সংরক্ষণকে দুষছেন।

এ ব্যাপারে কোটা প্রথা আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, সিভিল সার্ভিস কমিশনে যোগ্যতা ছাড়াও শুধুমাত্র কোটার কারণে তারা নিয়োগ পাচ্ছে। এটা লাখ লাখ বেকারের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা। আমরা কোটার বিরুদ্ধে নই, কোটা থাকুক। তবে সেটা ১০শতাংশের বেশি নয়।’

আরও পড়ুন:

পি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়লেন বাঁধন
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাচ্ছেন ৩ বিচারপতি
রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা চান হাইকোর্ট
বেনজীরের সম্পদ: অনুসন্ধান প্রতিবেদন নিয়ে দুদককে হাইকোর্টের যে নির্দেশ
X
Fresh