• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

আজ বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস

মৌলভীবাজারে বিপন্ন বন্যপ্রাণিরা

চৌধুরী ভাস্কর হোম

  ০২ মার্চ ২০১৮, ২৩:৫৮

আজ বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস। দেশের বন্যপ্রাণি বিচরণকারী এলাকাগুলোর মধ্যে একটি মৌলভীবাজার। দিবসটি উপলক্ষে লাউয়াছড়া বনে বেশ কিছু বন্যপ্রাণি অবমুক্ত করবে শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণি সেবা ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে আরও কয়েকটি সংগঠন।

একসময় মৌলভীবাজার অসংখ্য বন্যপ্রাণির আবাসস্থল ছিল। কিন্ত সময়ের ব্যবধানে বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় এবং হাজার হাজার একর সরকারি খাসভূমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ এবং আনারস, লেবু ও পান চাষ করায় সেসব বন্যপ্রাণি এখন বিলুপ্তির পথে।

লাউয়াছড়া বন কিছু বন্যপ্রাণির শেষ আশ্রয়স্থল হলেও এর ভেতরের রেললাইন, বাসলাইন, বৈদ্যুতিক লাইন, লেবু বাগান, বাড়িঘরের কারণে তারাও রয়েছে ঝুঁকির মুখে। ইতোমধ্যে মারা গেছে বেশকিছু বন্যপ্রাণি। এখানকার বন্যপ্রাণি মারা যাওয়ার খরব প্রায়ই গণমাধ্যমে আসে।

এছাড়া বন্যপ্রাণির বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জের পশ্চিম ভানুগাছ বন, আদমপুর বন বিট, কুরমা বন বিট, কালাছড়া বন বিট, কুলাউড়ার মনছড়া বনবিট, বড়লেখার মাধবকুন্ড পাতারিয়া বনাঞ্চল, মৌলভীবাজার সদরের বর্ষীজোড়া বন, জুড়ির সাগরনাল ও শ্রীমঙ্গল সাঁতগাও বন বিটসহ আরও কয়েকটি বনও উজার হওয়ার পথে।

কোনো কোনোটা নামেমাত্র টিকে আছে। অথচ এই বনগুলোতে ২৫ বা ৩০ বছর আগেও ছিল প্রচুর পরিমাণে গাছপালা ও বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণি। এছাড়া গ্রামীণ ঝোঁপঝাড় কেটে ফেলায় ওইসব এলাকায় বসবাসকারী বন্যপ্রাণিরা গ্রামের ভেতরে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করতে গিয়ে মানুষের হাতে কখনও মারা পড়ে, কখনও বন্দি হয়।

বিভিন্ন সময় লাউয়াছড়া বনেরও কিছু প্রাণি লোকালয়ে গিয়ে ধরা পড়ে মানুষের হাতে। এই প্রাণিদের উদ্ধার করে আবার বনে অবমুক্ত করা হয়। এমন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন শ্রীমঙ্গলের প্রাণিপ্রেমী সিতেশ রঞ্জন দেব। তিনি বিপন্ন বন্যপ্রাণিদের জন্য গড়ে তুলেছেন বন্যপ্রাণি সেবা ফাউন্ডেশন।

সিতেশ রঞ্জন দেব জানান, চোখের সামনে সব পাল্টে গেছে। এই অঞ্চলের বন্যপ্রাণিগুলো তার কাছে এখন স্বপ্নের মতো। লাউয়াছড়া ও আশেপাশের বনে চিতাবাঘ, সাম্ভার, ভাল্লুক, চিত্রা হরিণ, সজারু, বনরুইসহ অসংখ্য প্রাণি বিচরণ করতে দেখেছেন। এগুলো বিলু্প্তির মুল কারণ বনাঞ্চল কমে যাওয়া।

এই বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, যেসব ব্যক্তি এই বন বিনষ্টে লিপ্ত রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দখলকৃত বনাঞ্চল উদ্ধার করা হবে। বিশেষ করে লাউয়াছড়া বনকে পরিপূর্ণ অভয়ারণ্য হিসেবে রূপ দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:

কে/এ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাঁচানো গেল না সোনিয়াকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের সবার মৃত্যু
মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরের মরদেহ ফেরত পেল পরিবার
বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জাল রুপি ও টাকাসহ গ্রেপ্তার ১
X
Fresh