• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রগতিশীল রাজনীতিক-লেখক অজয় রায় আর নেই

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৭ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:৩৮

সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক এবং দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা অজয় রায় আর নেই।

সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় ধানমণ্ডিতে নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরদেহ বারডেম হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

অজয় রায় নিউমোনিয়া, কিডনি, হৃদ্‌রোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য জানান, অনেক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অজয় রায়। গেলো সপ্তাহে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়ার কথা ছিল। ভোর সাড়ে ৫টায় তাঁর শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অজয় রায়ের প্রতি নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মরদেহ সেখানে রাখা হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের অজয় রায় বলেছেন মৃত্যুর পর তিনি এই বাংলার মাটির সঙ্গে মিশে থাকতে চান। তাই তার মরদেহ দাহ না করে সমাধিস্থ করা হবে।

তাই নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলির পর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নিয়ে যাওয়া হবে। তাকে সেখানেই সমাধিস্থ করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য অধ্যাপক অজয় রায় মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নৃশংস গণহত্যা শুরু করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসস্থল ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। অজয় রায় মুজিবনগর সরকারের প্ল্যানিং সেলের অনাররি সদস্য হিসবে নিয়োজিত ছিলেন।

বাংলাদেশে বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পেছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন অধ্যাপক অজয় রায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মজীবন থেকে অবসর নেয়ার পর বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ গড়ে তোলেন।

২০১২ সালে তিনি একুশে পদক পান। এছাড়া এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলোশিপ, বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ, ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব ম্যাথেমাটিকাল ফিজিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স কর্তৃক সম্মাননা পান এ গুণী লেখক।

আরএইচ/ এসজেড

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh