তাপস রায়ের উপন্যাস ‘জারিফের স্কুল’
‘জারিফের স্কুল’ কিশোর উপন্যাসের ভূমিকায় কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন লিখেছেন, ‘এই উপন্যাসে কিশোর-কিশোরীদের জানার জন্য অনেক প্রশ্ন আছে, নানা ঘটনা আছে, যুক্তি দিয়ে ন্যায়-অন্যায় বোঝার বড় দিক আছে। উপন্যাসজুড়ে আছে প্রকৃতির চমৎকার বর্ণনা।
শামুকখোল, ধানটুনি, ঘাসবনে বেড়ে ওঠা পাখিখেকো ভাওয়া, ডংকুর, হরবোলা এমনকি জলপিপির খোঁজ মিলবে এই উপন্যাসে।
আর মিলবে এদের ছোট ছোট দুষ্টুমিভরা ঘটনা। এর মধ্যে দিয়েই জানা যাবে সেই সত্য: ক্ষমা মহত্বের গুণ। আর বন্ধুত্ব হয়ে গেলে শত্রুতা এমনিতেই শেষ হয়ে যায়। উপন্যাসটি ছোটদের পড়তে যেমন ভালো লাগবে, তেমনি এখান থেকে তারা নীতিকথা শিখবে। জানবে প্রকৃতির ভাষা।’
জারিফ কৌতূহলী এক জিরাফ। তার মনে হাজারো প্রশ্ন খেলা করে। গাধা কেন পানি ঘোলা করে খায়? কাক কেন কা কা করে? জিরাফের গলা এত লম্বা হলো কেমন করে? বড় গলার কারণেই সে বনের সবচেয়ে লম্বা প্রাণী। তাহলে সিংহকে কেন সবাই ভয় পায়? অথচ হাতি তার চেয়েও শক্তিশালী। তবে কি হিংস্রতাই বড় হয়ে ওঠার প্রধান কারণ?
জারিফ এসব প্রশ্নের জবাব খোঁজে। ভালুক আকালু, হাতি হাতিম, অজগর কিড়ালি বনের নিরীহ প্রাণীদের জন্য স্কুল খোলে। বেঁচে থাকার উপায় স্কুলে শেখানো হয়। শিকারের কৌশল সবাই জেনে যাবে বিধায় সিংহ এর ঘোরবিরোধী। শিয়াল চিতুর ও বানরের দল বাঙ্গুদের নিয়ে সিংহ চক্রান্ত করে স্কুলটি বন্ধ করে দেয়ার।
প্রতিবাদ করে জারিফ। বেধে যায় তুমুল সংঘর্ষ। বইটির প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স। প্রচ্ছদ এঁকেছেন গৌতম। মূল্য ১৭৫ টাকা।
আরও পড়ুন:
এম/এসজে
মন্তব্য করুন