বইমেলায় জনতার ঢল
মহান শহীদ দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জনতার ঢল নেমেছে একুশের বইমেলায়। বেলা যতই গড়িয়েছে দর্শনার্থী ও বইপ্রেমী মানুষের ভিড়ও তত বাড়ছে।
দুপুরের মধ্যেই বইমেলা জমজমাট দেখা যায়। বিকেলের দিকে ভিড় আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বলা চলে আজ দিনব্যাপী মেলা জমজমাট।
দ্যু প্রকাশনীর কানিজ ফাতেমা জানান, ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী বইমেলা সবচেয়ে বেশি জমজমাট হয়ে ওঠে একুশে ফেব্রুয়ারির দিনেই। এ দিনে বইয়ের বেচাকেনাও হয় সর্বোচ্চ।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, পাঠক, লেখক, দর্শনার্থীমুখর বইমেলা প্রাঙ্গণ। শহীদ মিনার থেকে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মানুষ ছুটছে বইমেলায়। শহীদ মিনার থেকে বইমেলা একাকার হয়ে গেছে মানুষে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: খালেদার আপিল নিয়ে যা বলল দুদক
--------------------------------------------------------
বই মেলায় তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। মেলায় এসেছে শিশুরাও। নারী-পুরুষের সাদা-কালো পোশাকে শোকের আবহ। মাথায় ফুলের টায়রা পরা নারী-শিশুরা ঘুরে বেড়াচ্ছে মেলায়। মেলায় অনেকে এসেছেন সপরিবারে।
মেলায় এসেছেন ধানমন্ডির বাসিন্দা ফাতেমা খান লুবনা। তিনি বলেন, ‘বইমেলা পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে চললেও, আমার আসার সময় হয় না। আমি সাধারণত একুশে ফেব্রুয়ারির দিন পরিবার পরিজন নিয়ে শহীদ মিনার হয়ে বই মেলায় আসি। সারাদিনই বই মেলাসহ আশপাশেই কাটাই।’
মেলায় স্বামীর সঙ্গে এসেছেন বিলকিস হোসাইন। তিনি বলেন, 'ওর অফিসের পর সময় থাকে না। আজ সময় হয়েছে। তাই দুজনে চলে আসলাম।' তিনি বলেন, 'খুব ভালো লাগছে। সকালে বেরিয়েছিলাম। শহীদ মিনার থেকে পরে বইমেলায় এসেছি।
মেলার সূচি অনুযায়ী আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরের মাধ্যমে মেলা মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
সারা দেশের বরেণ্য কবিরা ভাষা আন্দোলন নিয়ে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেছেন অনুষ্ঠানে। মঞ্চের সামনের আসন দর্শক পূর্ণ দেখা গেছে।
বিকেলে বাংলা মেলা মঞ্চে অমর একুশের বক্তৃতা হবে। এ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের বক্তব্য দেবার কথা রয়েছে।
এরপর হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন:
এসজে
মন্তব্য করুন