• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

প্রথম প্রহরেই শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:৩৩

শোক, বেদনা ও আত্মত্যাগের অহংকারে উদ্বেলিত আর গৌরবদীপ্ত এক অনন্য দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। সাহস, প্রত্যয় আর উদ্দীপনায় সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাবার দিন। রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহিদ দিবস। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। জাতির জীবনে অবিস্মরণীয় ও চিরভাস্বর দিন।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকার রাজপথে মিছিল বের করেন ছাত্র-জনতা। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন রফিক সালাম, জব্বার, বরকতসহ আরো অনেকে। শহিদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনার অভিঘাতে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীতে চলাচলের রাস্তা
--------------------------------------------------------

বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা সেদিন ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই বাঙালির কাছে চির প্রেরণার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

এই ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত বাঙালি জাতি। ঢাকার কেন্দ্রী শহিদ মিনার এরইমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা। শহিদ মিনারে প্রবেশ ও বাহির হবার রাস্তা ঠিক করে দিয়েছে ডিএমপি।