• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

খালেদার কারাবাস কতটা দীর্ঘ হবে?

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৯:৪৯

গেলো ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫ বছর জেল হয়। এই মামলায় বর্তমানে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন তিনি। এ নিয়ে বেশ কদিন ধরেই আলোচনায় আছেন খালেদা ও তার দলটি।

বিএনপি সমর্থকরা আশা করছিলেন, উচ্চ আদালতে আপিল করে শিগগিরই জামিন মিলবে খালেদার। তবে সহসা তেমন কিছু ঘটছে না। এমনটাই বলছেন আইন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ মামলায় বন্দি অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কুমিল্লার নাশকতার মামলায়। এর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছেন সেখানকার পুলিশ সুপার। তার আইনজীবীরা বলছেন, বিএনপি প্রধানকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: নজরুলের সৃষ্টিকর্ম সংগ্রহ-প্রচারে বিল পাস
--------------------------------------------------------
আদালত সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার ৩৪ মামলার চারটিতে জারি রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এর মধ্যে আছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, জাতীয় পতাকা অবমাননা, ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন এবং বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা।

অ্যাটর্নি জানারেল জানিয়েছেন, কারাগারে থাকা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলে, সংশ্লিষ্ট আদালতে না গিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমেও জামিন আবেদন করা যাবে।

তবে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের অভিযোগ, বিএনপির আগামী নির্বাচনে যাওয়া বন্ধেই চেয়ারপারসনসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সারা দেশেই মিথ্যা মামলা দায়ে ও গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আপিলের জন্য ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সার্টিফায়েড কপি পেতে স্বাভাবিকভাবেই দেরি হবে।

খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিএনপি প্রধানকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে। এখন পর্যন্ত রায়ের কপি আমরা হাতে পাইনি। রায়ের প্রত্যয়িত অনুলিপি পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে আপিল দায়ের করা সম্ভব। নিম্ন আদালতের রায়ের প্রত্যয়িত অনুলিপি পাওয়া সাপেক্ষে আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ও জামিন আবেদনের শুনানি এক সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে।

তিনি এও বলেন, সরকার যদি মনে করে, বিলম্ব করানোর চেষ্টা করবে, তবে কারাবাস আরো দীর্ঘায়িত হবে।

আরও পড়ুন:

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল
খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি পেছাল
‘খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত’
ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে খালেদা জিয়ার বাসভবনে বিএনপি নেতারা
X
Fresh