জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বিল পাস
জোনের বাইরে জাহাজ ভাঙলে জেল-জরিমানা
জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ রাখতে, উপযুক্ত কোনও এলাকাকে জোন হিসেবে ঘোষণার বিধান করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের অনুমতিক্রমে কোনও জোনে ইয়ার্ড স্থাপন করার বিধান করা হয়েছে। তবে জোনের বাইরে ইয়ার্ড স্থাপন বা অনুরূপ কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। অনুমোদিত জোনে ইয়ার্ড স্থাপন করে, সেখানেই জাহাজ ভাঙতে হবে। এ আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
আজ (বুধবার) সংসদে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বিল-২০১৮ পাস হয়েছে। এ বিলে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকে আইনী কাঠামোর মধ্যে আনতে সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি’র ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান ১ ফেব্রুয়ারি
--------------------------------------------------------
বিলে ইয়ার্ডে আমদানিকৃত বা স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ করার বিধান করা হয়েছে। তবে এ ধরনের কোনও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য সংগ্রহের পূর্বে বোর্ডের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ করতে হবে।
বিলে পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণে আন্তর্জাতিক মান সংরক্ষণে এ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইন ও কনভেনশনের শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত করার বিধান করা হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার কর্মকর্তাকে চেয়ারম্যান করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বোর্ড গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বোর্ডের কার্যালয়, বোর্ড গঠন, বোর্ডের কার্যাবলী ক্ষমতা, সভা, মহাপরিচালক নিয়োগ, জনবল কাঠামো, পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম, পরিদর্শন, বার্ষিক প্রতিবেদন, বোর্ডের তহবিল, বাজেট, হিসাব রক্ষণ নিরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।
বিলে উল্লেখিত বিধান লঙ্ঘনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে এর বিচার এবং আর্থিক দণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে জরুরি ভিত্তিতে জাহাজ সৈকতায়ন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান করা হয়েছে। প্রত্যেক ইয়ার্ডকে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রদান করতে হবে।
বিলে কমিটি গঠন, ক্ষমতা অর্পণ, জনসেবক নিয়োগ, বিধি-প্রবিধি, প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
জেএইচ
মন্তব্য করুন