ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নতুন মহাপরিচালক রেজানুর রহমান
বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজানুর রহমানকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিদায়ী মহাপরিচালক ড. মুহা. বশিরুল আলমের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ অধিশাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, মো. রেজানুর রহমান বিসিএস ১৭তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা। তিনি ১৯৯৮ সালে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়ে বিভিন্ন জেলায় সহকারী কমিশনার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগে উপসচিব ও যুগ্মসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
আরটিভি/এসএপি-টি
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী—ট্রাম্পের নামে প্রচারিত ভাইরাল উক্তিটি ভুয়া
এখনও শেখ হাসিনাকেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—সম্প্রতি এমন একটি উক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। পোস্টটিতে সূত্র হিসেবে কমেন্টবক্সে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ‘ন্যাশনাল ডায়ালগস’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওর লিংক।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য দাবি করে এমন একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটিতে লেখা, ‘আমি মনে করি শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী: পিবিডি ব্রডকাস্টকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই কথা বলেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের অবৈধ দখলদার সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘যারা বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, তারা আমাকে পদত্যাগপত্রটি দেখান।’
পোস্টটিতে আরও লেখা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশ–পাকিস্তানে কি হচ্ছে আমি সব জানি। এখানে সন্ত্রাসবাদের চাষাবাদ হচ্ছে।’
নুরুল আজিম রনি তার পোস্টটির সূত্র হিসেবে কমেন্টবক্সে যে ‘ন্যাশনাল ডায়ালগস’ নামের ইউটিউব চ্যানেলের লিংক দিয়েছেন, সেটি ভারতীয় একটি ইউটিউব চ্যানেল। তরুণ ঘোষ নামে কলকাতার একজন সাংবাদিক এই চ্যানেলে নিয়মিত তার নিজের মতামত ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকেন। শনিবার চ্যানেলটিতে প্রচারিত একটি ভিডিওর শিরোনাম ছিল, ‘আমি মানি হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী: ট্রাম্প’।
ভিডিওটিতে তরুণ ঘোষ দাবি করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতার পর গতকাল শনিবার একটি পডকাস্টে যোগ দিয়েছিলেন। পিবিডি পডকাস্ট নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউটিউব চ্যানেলে এটি আয়োজন করা হয়। পডকাস্টে বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন ট্রাম্প। পডকাস্টটিতে কিছু কিছু ব্যক্তিকে ট্রাম্প শত্রুর তালিকায় রেখেছেন। এ তালিকায় এক নম্বরে আছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, এরপরই থাকবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি...।
তরুণ ঘোষ আরও দাবি করেন, ট্রাম্প পডকাস্টে বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, এখানে স্বৈরতন্ত্র জেঁকে বসেছে এবং এখানে সন্ত্রাসবাদের একটা বীজ বোনা হচ্ছে।
এরপর ভিডিওটিতে তরুণ ঘোষ নিজের আরও বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন।
তবে, ফ্যাক্টচেক অনুসন্ধানে দেখা যায়, পিবিডি পডকাস্টে অংশ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করেননি। তাছাড়া, পডকাস্টটিতে তিনি অংশ নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সপ্তাহ দুয়েক আগে, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে নয়।
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে পিবিডি পডকাস্টের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাম্পের পডকাস্টটি পাওয়া যায়। চ্যানেলটিতে গত ১৭ অক্টোবর পডকাস্টটি প্রচার করা হয়। ১ ঘণ্টা ২৬ মিনিটের পডকাস্টটিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বারাক ওবামার ভূমিকা, কৃষ্ণাঙ্গদের ভোট, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা, ইরানের ওপর অবরোধ, পররাষ্ট্র নীতি ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন ট্রাম্প।
পডকাস্টটিতে পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কিত আলোচনায় ট্রাম্প জানান, তার সঙ্গে পুতিন ও জেলনস্কির ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে উদ্যোগী হবেন।
পুরো পডকাস্টটিতে তাকে বাংলাদেশ নিয়ে কোনো আলোচনা করতে শোনা যায়নি। এমনকি, নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিয়ে টুইটটি ছাড়া ট্রাম্প বাংলাদেশ বা শেখ হাসিনা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন বলে কোনো তথ্যও দেশীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া যায়নি।
এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) গত ৩১ অক্টোবর একটি টুইট করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদেরওপর ‘বর্বর’ সহিংসতা চালানো হচ্ছে এবং তারা হামলা ও লুটপাটের শিকার হচ্ছেন। এসবের নিন্দা জানিয়ে টুইটটিতে তিনি লিখেন, বাংলাদেশ একটি সম্পূর্ণ “বিশৃঙ্খল” অবস্থার মাঝে রয়েছে।
এ অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বাংলাদেশে এখন অন্যতম এক আলোচনার বিষয় সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কেমন হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দ জানিয়েছেন জুলাই বিপ্লবে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
এসবের মাঝেই সবশেষ শেখ হাসিনাকেই এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন ট্রাম্প—এমন খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশ।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হচ্ছেন নতুন ৫ জন, সন্ধ্যায় শপথ
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন পাঁচজন যুক্ত হচ্ছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, কারা নতুন উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিচ্ছেন সে বিষয়ে এখন কিছু জানা যায়নি।
যাদের নাম আলোচনায়
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) থেকে সদ্য পদত্যাগ করা আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ড. মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ ছাড়া একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও নতুন উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হতে পারেন।
এর আগে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণ করেন। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারের সদস্য ২১ জন। তাদের অনেকেই পালন করছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টা তিনটি করে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। দুটি করে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন ১০ জন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে আছে ৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
প্রধান উপদেষ্টা সামলাচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, খাদ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ; আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ড. আসিফ নজরুল।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের ওপর। লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সামলাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়। হাসান আরিফ সামলাচ্ছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়। আদিলুর রহমান খান সামলাচ্ছেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আসিফ মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ফারুক-ই-আজম, বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে শারমীন এস মুরশিদ দায়িত্ব পালন করছেন।
আরটিভি/আরএ/এআর
নতুন উপদেষ্টারা কে কোন দপ্তর পেলেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পর রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের দপ্তর বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়, শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
মাহফুজ আলমকে এখনও কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।
নতুন করে তিনজন শপথ নেওয়ার পরে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টা হলেন ২৪ জন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় নিয়োগ পান ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওইদিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন।
১৬ আগস্ট আরও চারজন উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্ত হন। তখন এ সরকারে প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টা হয় ২১ জন।
আরটিভি/ এমএ
উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বণ্টন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া নতুন তিনজনের মধ্যে দুজন এবং পুরনোদের মধ্যে এক উপদেষ্টাকে দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাসহ বর্তমান উপদেষ্টাদের মধ্যে দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) নতুন শপথ নেওয়া উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন এবং পুরনোদের পুনর্বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।
মাহফুজ আলমকে এখনও কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে, খাদ্য এবং বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ছিল তার দায়িত্বে।
সাহেল উদ্দিন দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের। এর আগে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে ছিলেন।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আসিফ নজরুলকে। এর আগে, তার দায়িত্ব সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ও ছিল।
হাসান আরিফের দায়িত্বে থাকবে ভূমি ও বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এর আগে, তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে ছিলেন।
আলী ইমাম মজুমদারকে দেওয়া হয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সামলাবেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এর আগে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ও তার দায়িত্বে ছিল।
এম সাখাওয়াত হোসেনকে দেওয়া হয়েছে নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
শেখ বশির উদ্দিন পেয়েছে বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
আরটিভি/এমএ-টি
গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসিফ মাহমুদ
নতুন তিন উপদেষ্টা শপথ গ্রহণের পর অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব পুর্নবণ্টন করা হয়েছে। এতে নতুন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আসিফ মাহমুদ।
রোববার (১০ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, রোববার নতুন তিন উপদেষ্টার শপথ গ্রহণের পর মন্ত্রণালয় পুনর্বন্টন করে সরকার। এতে নতুন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আসিফ।
অবশ্য তার হাতে থাকা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেনকে।
ফলে, এখন থেকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আসিফ মাহমুদ।
এদিকে, নতুন করে শপথ নেওয়া মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতদিন এই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আর সেখ বশির উদ্দিন পেয়েছেন বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তবে মাহফুজ আলমকে কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া নতুন করে মন্ত্রণালয় পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে সংযুক্ত থাকা আলী ইমাম মজুমদার। তাকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আর উপদেষ্টা হাসান আরিফকে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরটিভি/একে
নির্বাচন কোন সময় হবে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বতী সরকারের মেয়াদ যত কম হয় ততই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৪ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-টোয়েন্টি নাইন সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের আগে সংস্কার করা হবে। আর যত দ্রুত সংস্কার শেষ হবে তত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে। সংস্কারের গতি নির্ধারণ করবে কত দ্রুত সময়ে নির্বাচন হবে।
সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা জানান, যত দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যায় সে পথেই রয়েছেন তারা। দায়িত্ব নেওয়ার সময় অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্যই ছিলো দেশকে ভোটের জন্য প্রস্তত করা। তবে, সবপক্ষে ঐকমত্যে সংস্কার আগে শেষ হতে হবে, আর তা সম্পন্নে সঙ্গে সঙ্গেই দেওয়া হবে নির্বাচন।
প্রফেসর ইউনূস জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষমতা নিয়ে তিনি কথা দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক দেশের দিকে নিয়ে যাবেন। আর সেই কথা তিনি রাখবেন।
ড. ইউনূস বলেন, এটি একটি ওয়াদা, আমরা এই ওয়াদা করেছিলাম যে যত দ্রুত নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত হব, আমরা নির্বাচন দেব। যেন নির্বাচিতরা ক্ষমতা নিতে এবং দেশ চালাতে পারে।
তিনি জানিয়েছেন, সংবিধান, সরকারের গঠন, সংসদ এবং নির্বাচনী আইনে যেসব প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা হবে সেগুলোতে সবার দ্রুত সময়ের মধ্যে একমত হতে হবে। যেন তারা দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা হলাম অন্তর্বর্তী সরকার। তাই আমাদের মেয়াদ যত কম হওয়া সম্ভব তত কম হওয়া উচিত।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ছাত্র-জনতা ড. ইউনূসকে সর্বসম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করার পক্ষে মত দেন।
হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর গুলিতে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়। শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। তবে এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু সময় লাগবে ইঙ্গিত দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বিপ্লবের মাত্র তিন মাস পার হয়েছে।
আরটিভি/একে
তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সানজিদ সিদ্দিকী ও তাহসিনা মৃদু।
রাজধানীতে বর্তমানে সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করছে। এর বড় একটি অংশ হলো ব্যাটারিচালিত। এ ছাড়া পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে।
রাজধানীর অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেশি। সুযোগ পেলে মূল সড়কেও দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা। বিশেষ করে রাতের বেলা।
রাজধানীর মানিকনগর, খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর, পল্লবী, মোহাম্মদপুর, বছিলা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বেশি।
এই রিকশা চলাচলের কারণে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে আহত হচ্ছেন অনেকে, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করলেও অবৈধ এসব বাহনের দৌরাত্ম্য থেমে নেই।
আরটিভি/এফএ-এস